আহত বন্ধু রুদ্রনীল ঘোষের পাশে দাঁড়ালেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। তাঁর হাতে তুলে দিলেন ফিল্মফেয়ার পুরস্কারও। পাশাপাশি ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থীর উপর হামলার তীব্র নিন্দা করলেন তিনি।
২০১৯ সালে মুক্তি পাওয়া ‘ভিঞ্চি দা’সিনেমার কাহিনি সৃজিতের সঙ্গে যৌথভাবে লিখেছিলেন রুদ্রনীল। কিছুদিন আগে সেই কাহিনির জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পান দু’জন। সেই পুরস্কারই রুদ্রনীলের হাতে তুলে দিতে গিয়েছিলেন পরিচালক। ছবি শেয়ার করেন নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে (যেটি ভেরিফায়েড নয়)। ছবির ক্যাপশনে সৃজিত লেখেন, “ভিঞ্চি দা সিনেমার ব্যস্তবাগীশ সহ-লেখক এবং আমার প্রিয় বন্ধু রুদ্রনীল ঘোষ রুডিকে অবশেষে পাওয়া গিয়েছে ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডটি হাতে তুলে দেওয়ার জন্য। আরও এমন স্টোরি জ্যামিং সেশন হোক, কমরেড!” এরপরই আবার সৃজিত লেখেন, “এই যে স্লিংটি আপনারা তাঁর হাতে দেখছেন, এটি গতরাতে তাঁর উপর হওয়া মারাত্মক হামলার ফল যখন সে এক স্বাধীন দেশে নিজের দলের হয়ে প্রচার করছিল। আমি এই এমন ঘটনাকে তীব্র ধিক্কার জানাই যা এই দেশ বা অন্য কোনও দেশ বা বিশ্ব কিংবা ব্রহ্মাণ্ডের গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে ব্যহত করে।”
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধেয় ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী (BJP candidate) রুদ্রনীল ঘোষের বেশ কিছু ছেঁড়া ফ্লেক্স নজরে পড়ে দলের কর্মীদের। তাঁরা অভিযোগ করেন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ঘটনার নেপথ্যে। ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। রাতে এই ঘটনা নিয়ে অভিযোগ জানানোর জন্য চেতলা থানায় যাচ্ছিলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। সঙ্গে ছিলেন রুদ্রনীল ঘোষও। অভিযোগ, সেই সময় তাঁদের উপর হামলা করা হয়। এরপরই তৃণমূল-বিজেপি কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। লাগাতার ইটবৃষ্টি হয়। ভাঙচুর চালানো হয় একাধিক গাড়িতে। রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখান দুই দলের কর্মীরাই। রাতেই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে চেতলা থানায় যায় দুই রাজনৈতিক দল। থানার বাইরেও বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
এই ঘটনার পরই ফেসবুক লাইভে তৃণমূল ও ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধ ক্ষোভ উগরে দেন ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষ। অভিযোগ করেন, হার নিশ্চিত জেনেই ফিরহাদ হাকিমের নির্দেশে এই হামলা চালিয়েছে তৃণমূল কর্মীরা। তিনি আরও অভিযোগ বলেন, “প্রায় ২৫০ জন ছেলে মিলে হামলা চালায়। মহিলাদের ধর্ষণের হুমকিও দেওয়া হয়। মহিলারা রুখে না দাঁড়ালে ভয়ংকর কিছু হতে পারত।” পালটা দিয়েছে তৃণমূল। তাঁদের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, বহিরাগত দুষ্কৃতীদের এনে এলাকায় অশান্তি ছড়াচ্ছে বিজেপি। সূত্রের খবর, এই ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের শনাক্ত করার চেষ্টায় পুলিশ।