ফুটবলের প্রতি ভালোবাসার এর চেয়ে বড় উদাহরণ আর কী হতে পারে! ফুটবলকে ভালোবেসেই সৌদি আরবের এক সমর্থক ৫৫ দিন হেঁটে কাতারের রাজধানী দোহায় পৌঁছেছেন। আর দূরত্ব হিসাব করলে এই পথ ছিল ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটারের ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা, দলকে সমর্থন এবং আরব দুনিয়ায় ভাতৃত্বের বার্তা ছড়িয়ে দিতেই মূলত দোহায় আসার এমন কঠিন পথ বেছে নিয়েছেন আবদুল্লাহ আর সালমি।
সালমির আশা, তাঁর এমন পরিশ্রম দলকে নিজেদের সেরাটা দিতে অনুপ্রাণিত করবে। আজ বিকেল চারটায় নিজেদের প্রথম ম্যাচে টুর্নামেন্ট ফেবারিট আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হবে সৌদি আরব।
বিশ্বকাপে স্টেডিয়ামের আবর্জনা পরিষ্কার করে আবারও আলোচনায় জাপান
জাপানিদের আবর্জনা পরিষ্কার করে আলোচনায় আসার ঘটনা এটাই প্রথম নয়
হাইকিং (উদ্দেশ্যমূলক ভ্রমণ) সালমির শখ। তবে বিশ্বকাপ সামনে রেখে প্রায় দুই মাস ধরে হাঁটার কাজটি শুধুই শখের বসে করেননি সালমি। এর মধ্য দিতে চেয়েছিলেন একটি বার্তাও দিতে। সালমি বলেন, ‘আমি সব সময় বিশ্বকাপে উপস্থিত থাকতে চেয়েছি। যেখানে প্রথমবারের মতো আরব দেশে বিশ্বকাপ আয়োজন করা হচ্ছে। ভাতৃত্ব প্রদর্শনে আমি আরব উপদ্বীপ হেঁটে আয়োজনটাকে স্মরণীয় করে রাখতে চেয়েছিলাম। পাশাপাশি দুটি প্রতিবেশী দেশের মাঝে ঐক্যকেও তুলে ধরতে চেয়েছিলাম।’
এভাবে কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে বিশ্বকাপ দেখতে যাওয়ার মধ্যে দিয়ে ভালোবাসা ও আবেগকেও ছড়িয়ে দিতে চেয়েছেন সালমি, ‘হাইকিং আমাকে স্বাধীনতার অনুভূতি দেয়। আমি চেয়েছিলাম এই আবেগ এবং ভালোবাসা লাখো সমর্থকদের মধ্যে ভাগাভাগি করতে, যাঁরা এই অঞ্চলে বিশ্বকাপের আয়োজন দেখতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেছিলেন।’
৫৫ দিন হেঁটে কাতারের রাজধানী দোহায় পৌঁছেছেন আবদুল্লাহ আর সালমি
৫৫ দিন হেঁটে কাতারের রাজধানী দোহায় পৌঁছেছেন আবদুল্লাহ আর সালমিছবি: টুইটার
আরও পড়ুন
আর্জেন্টিনা ৭, সৌদি আরব ৩, মেসি ০
কাল সংবাদ সম্মেলনে লিওনেল মেসি
সালমির আশা, তাঁর এই হাঁটার গল্প সৌদি আরবের ফুটবল দলকেও অনুপ্রাণিত করবে। তিনি আরও বলেন, ‘আমি আশা করি, আমাদের দল আমার এভাবে হেঁটে আসা সম্পর্কে ইতিমধ্যে জেনেছে এবং টুর্নামেন্টে নিজেদের সেরাটা দিতে তারা অনুপ্রাণিত হয়েছে। আমি সবাইকে দেখাতে চেয়েছিলাম কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। কঠিন পরিশ্রম এবং একাগ্রতায় যেকোনো কিছু করা সম্ভব।