লুসাইল স্টেডিয়ামে আজ হলুদ জার্সিধারীদের জনস্রোত থাকবে। ৮০ হাজার দর্শকক্ষমতা সম্পন্ন স্টেডিয়ামের বড় অংশ দখলে থাকবে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের—এটা সহজেই অনুমেয়। মরুর বুকে যে হেক্সা মিশনে নামতে যাচ্ছে ব্রাজিল। কিন্তু সার্বিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে কিছুটা শঙ্কা উঁকি দিচ্ছে। দুই ফেভারিট আর্জেন্টিনা-জার্মানির প্রথম ম্যাচ তো তিক্ততায় কেটেছে। পুরো তিন পয়েন্ট খুইয়ে নকআউট পর্ব কঠিন করে ফেলেছে তারা। সেলেসাওরা এখন তাদের পথ অনুসরণ করবে নাকি উদ্ভাসিত জয় নিয়ে সমর্থকদের আনন্দে ভাসাবে?
এমন শঙ্কা বা প্রত্যাশা নিয়ে লুসাইল স্টেডিয়ামে খেলবে ব্রাজিল। তবে শঙ্কার বিষয়টি আগেই উড়িয়ে দিয়েছেন ‘প্রফেসর’ তিতে। বিশ্বকাপ যে জিততে এসেছেন তা অকপটে বলে দিয়েছেন। শক্তির নিক্তিতে সার্বিয়ার চেয়ে এগিয়ে রয়েছে নেইমার-ভিনিসিয়ুস-পাকেতারা। এই দলটি টানা ১৫টি ম্যাচ অপরাজিত থেকে নিজেদের নিয়ে গেছে অনন্য পর্যায়ে। দুর্দান্ত এক দল। ইতালির তুরিনে ৫ দিনের ক্যাম্প করে এখন কাতারে ম্যাচ খেলার অপেক্ষায়।
নীরবে-নিঃশব্দে এগিয়ে যেতে চাইছে ব্রাজিল। সতর্ক হয়ে খেলতে চাইছে। মাঠে দেখাতে চাইছে নিজেদের লাতিন ছন্দ। দলের অন্যতম তারকা রিচার্লিসন নীরবে খেলে সরব উপস্থিতি দেখাতেই পছন্দ করেন। তাই তো আগেভাগেই বলে রেখেছেন, ‘যা করার মাঠেই প্রমাণ করতে হবে। কথায় নয়। আমি নীরবে কাজ সেরে ফেলতে পছন্দ করি। সেরাটা দেওয়ার জন্য খেলে থাকি। প্রফেসর তিতে আমাদের সেভাবে প্রস্তুত করেছেন। আশা করছি বিশ্বকাপে আমাদের ভালো কিছু করতে পারবো।’
কাতারের মাঠে বিশ্বকাপ জেতার জন্য ব্রাজিল যে সবকিছুই করবে তা বলতে দ্বিধা করেননি টটেনহ্যামের এই ফরোয়ার্ড, ‘আমরা বিশ্বকাপ জেতার জন্য সবকিছুই করবো। এখন দেখার সামনে কী হয়।’
দলটির কঠিন আত্মবিশ্বাস সামনের দিকে চলার পথে পাথেয় হয়ে থাকছে। সার্বিয়া যদি ব্রাজিলের পথের কাটা হয়ে দাঁড়াতে না পারলে সেক্ষেত্রে হলুদ জার্সিধারীদের উৎসবের শুরুটা লুসাইল স্টেডিয়াম থেকেই হবে।