দীর্ঘ ১৫ বছরের লোকসান কাটিয়ে অবশেষে লাভের মুখ দেখলো বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)। ২০২১-২২ অর্থবছরে লাভজনক হিসেবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০০৭ -২০০৮ অর্থবছরে বিটিসিএল’র লোকসান ছিল প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা। তার আগে এটি ছিল প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। সর্বশেষ ২০২০-২১ অর্থবছরেও বিটিসিএলের লোকসান ছিল ২৪৭ কোটি টাকা। অব্যাহত এই লোকসান কাটিয়ে প্রতিষ্ঠানটির এ বছর লাভ করেছে ৬ কোটি ৭২ লাখ টাকা।
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বৃহ্স্পতিবার (২৪ নভেম্বর) ঢাকায় টেলিযোগাযোগ ভবনে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারকে এই তথ্য জানানো হয়। বিটিসিএল বোর্ড চেয়ারম্যান ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো. খলিলুর রহমান ও বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. রফিকুল মতিনসহ বোর্ডের সদস্যরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বিটিসিএলের এই অর্জনের নেপথ্য বিভিন্ন কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘বিটিসিএলকে প্রতিযোগিতার জায়গায় উপনীত করতে নতুন নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ থেকে শুরু করে সম্ভাব্য সব কিছুই আমরা সফলভাবে করেছি।’
দেশব্যাপী বিটিসিএলের অবকাঠামোসহ বিশাল স্থাবর সম্পদকে যথাযথ কাজে লাগিয়ে বিটিসিএল শিগগিরই অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, সরকারী প্রতিষ্ঠানের কাজ কেবল বাণিজ্য করা নয়, জনগণকে সেবা দেওয়া এর মূল লক্ষ্য।
কোভিডকালে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা প্রদান, ৪১৮টি ভিডিও কনফারেন্স এবং ৫৮৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক সেবা প্রদানের বিষয়টি তুলে ধরেন মন্ত্রী। লোকসানি প্রতিষ্ঠান থেকে লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিটিসিএল ঘুরে দাঁড়ানোয় মন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন।