কাতার বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে তুলনামূলক বেশি শক্তিশালী ইংল্যান্ডকে রুখে দিল যুক্তরাষ্ট্র। ম্যাচটি শেষ হয়েছে গোলশূন্য গোল ব্যবধানেই। ড্রয়ের পরও রাউন্ড অব সিক্সটিনে ওঠার ক্ষেত্রে একধাপ এগিয়ে গেল হ্যারি কেন বাহিনী।
আল বায়াত স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত গ্রুপপর্বে ইংল্যান্ড-আমেরিকা মধ্যকার ম্যাচটি ছিল অনেকটা ধীরগতির। এই ম্যাচে বল দখল ও আক্রমণে আধিপত্য ছিল ইংলিশ ফুটবলারদের। পুরো ম্যাচের ৫৬ শতাংশ সময় নিজেদের কাছে বল রাখতে সক্ষম হন গ্যারেথ সাউদগেটের শিষ্যরা। আর যুক্তরাষ্ট্রের গোলবার বরাবর শট নিতে পেরেছে মাত্র মোট তিনটা। অন্যদিকে পুরো ম্যাচের ৪৪ শতাংশ সময় নিজেদের নিয়ন্ত্রণ বল রাখতে সক্ষম হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলাররা। আর ইংল্যান্ডের গোলবার মোট শট নিয়েছে একটি। আসেনি কাঙ্ক্ষিত গোল।
এদিন ম্যাচের ২৫তম মিনিটে ডান দিক থেকে সতীর্থের বাড়ানো ক্রস বক্সে ফাঁকায় পেয়ে উড়িয়ে মারেন ওয়েস্টন ম্যাককেনি। আর ৩২তম মিনিটে ক্রিস্টিয়ান পুলিসিকের বুলেট গতির শট গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে ক্রসবার কাঁপায়। ফলে লিড নেয়া হয়নি যুক্তরাষ্ট্রের।
প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে দল এগিয়ে নিতে পারতেন ইংলিশ তারকা ফুটবলার সাকা। কিন্তু ছয় গজ বক্সের মুখ থেকে শট নেওয়ার যথেষ্ট জায়গা না পেয়ে উড়িয়ে মারেন তিনি। পরের মিনিটে ম্যাসন মাউন্টের জোরাল শট ঝাঁপিয়ে ফেরান যুক্তরাষ্ট্রের গোলরক্ষক ম্যাট টার্নার। প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্যতে।
দ্বিতীয়ার্ধ শুরুতে বল নিয়ে কর্তৃব্য স্থাপনের চেষ্টা চালায় যুক্তরাষ্ট। এদিকে ছাড় দিতে নারাজ ইংল্যান্ড । ফলে কাঙ্ক্ষিত গোলের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালায় দুদল। কিন্তু শেষ মিনিট পর্যন্ত কেউই পায়নি গোলের দেখা। ফলে কেউ গোল আদায় করতে না পারায় পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই মাঠ ছাড়ে দুদল।
এ ড্রয়ের ফলে দুই ম্যাচে সর্বোচ্চ ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে ইংল্যান্ড। সমান ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের। ফলে রাউন্ড অব সিক্সটিনে ওঠার জন্য নিজেদের শেষ ম্যাচে ড্র করলেই চলবে ইংল্যান্ডের। অন্যদিকে পরের রাউন্ড নিশ্চিত করার জন্য জয়ের বিকল্প নেই যুক্তরাষ্ট্রের।