রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি
বেসামরিক নাগরিকদের নিশানা করে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ নেটওয়ার্কে রুশ বাহিনীর হামলা চালানোর কথা অস্বীকার করেছে ক্রেমলিন। তবে বলেছে, সংঘাত সমাধানে রাশিয়ার দাবি পূরণ করে কিয়েভ তাদের জনগণের এই ‘দুর্ভোগের অবসান’ ঘটাতে পারে।
ইউক্রেনজুড়ে বিদ্যুৎ অবকাঠামোয় গত কয়েক সপ্তাহ ধরে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণে লাখ লাখ মানুষ বিদ্যুৎ ও পানিবিহীন অবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। শীত পড়তে শুরু করার এই সময়ে হিটিং ব্যবস্থাও বন্ধ হয়ে মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
কিন্তু রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দাপ্তরিক বাসভবন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেছেন, সামাজিক কোনো লক্ষ্যবস্তুতে কোনো হামলা চালানো হয়নি এবং এ বিষয়টিতে বিশেষ মনোযোগও দেয়া হয়নি।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অবস্থান থেকে কীভাবে ইউক্রেনের মানুষের দুর্ভোগের অবসান ঘটানো যাবে সে ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে পেসকভ বলেন, রাশিয়ার যেসব দাবি আছে সেগুলো পূরণ করার মধ্য দিয়ে ইউক্রেনের শাসকদের বর্তমান সংকটজনক অবস্থার সমাধান করা, স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনা এবং জনগণের দুর্ভোগের অবসানের সব সুযোগই আছে।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ শুরুর এক সপ্তাহ পর, ৭ মার্চ বেলারুশের গোমেল শহরে প্রথম দফা শান্তি আলোচনা শুরু করেন রাশিয়া ও ইউক্রেনের সরকারি প্রতিনিধিরা। সেই বৈঠকে যুদ্ধ বন্ধে কিয়েভের উদ্দেশ্যে ৪টি দাবি জানায় মস্কো। সেসব দাবি হলো- বাস্তবে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান বন্ধ করতে চায় রাশিয়া এবং তারা সেটি বন্ধ করবেও, তবে ইউক্রেনকেও সামরিক অভিযান বন্ধ করতে হবে এবং সামরিক অভিযান বন্ধের পর কোনোভাবেই যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া যাবে না। নিরপেক্ষতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ইউক্রেনের সংবিধানে পরিবর্তন আনতে হবে, ক্রিমিয়াকে রাশিয়ান ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে ইউক্রেনকে স্বীকৃতি দিতে হবে। দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, ঝাপোরিজ্জিয়া ও খেরসনকে রুশ ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।