কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপ দেখতে যাওয়া ভক্ত-সমর্থকদের শালীন পোশাক পরতে বলা হয়েছে আগেই। এমনকি ফুটবলারদের বউ-প্রেমিকাদেরও ড্রেস কোড মেনে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শর্ট স্কার্ট এবং লো-কাট টপ পরতে পারবেন না কেউই। তবে নিজ নিজ দলের জার্সি পরার অনুমতি মিলেছে। কাতারে বিশ্বকাপ দেখতে উদগ্রীব হয়ে আছেন ইংলিশ ফুটবলারদের স্ত্রী-প্রেমিকারা (ওয়াগস)। এদের কেউ কেউ আবার ফ্যাশন ডিজাইনারের শরণাপন্ন হয়েছেন। কাতারের আইন-কানুন মাথায় রেখে শালীন পোশাক ডিজাইন করা হয়েছে। লুক শ’র পার্টনার আনুস্কা সান্তোস, জন স্টোনসের পার্টনার লিভ নাইলর এবং মার্কাস রাশফোর্ডের ফিয়ন্সে লুসিয়া লুইয়ের ওয়্যারড্রোব গুছিয়ে দিয়েছেন ম্যানচেস্টারের স্ট্রাইল স্পেশালিস্ট কোনি জোনস। ইংলিশ ওয়াগসদের জন্য স্কার্ফ সরবরাহ করবে গুচ্চি ও হার্মেস। সংবাদমাধ্যম মেইল অনলাইনকে একটি সূত্র বলেছে, ‘ওয়াগদের প্রস্তুতির জন্য অনেক পরিকল্পনা করতে হয়েছে।
রেস্টুরেন্ট, জিম এবং সবখানে মানানসই এমন পোশাক ডিজাইন করতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছেন কোনি। রাশিয়ার তুলনায় এবারের বিশ্বকাপ একেবারেই ভিন্ন। ওই আসরে ওয়াগরা ডেনিম শর্টস এবং টাইট টপ পরেছিল, যাতে তাদের শারীরিক সৌন্দর্য দেখা যেতো।’ কাতারের ইসলামিক ঐতিহ্য মাথায় রেখে এবার তাদের পোশাক ডিজাইন করা হয়েছে। সূত্র বলেছে, ‘খেলোয়াড়দের পার্টনাররা যেখানেই যাবে, নিশ্চিতভাবেই ক্যামেরা পিছু পিছু থাকবে তাদের। কাতারে তারা যেন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার মুখে না পড়ে সেটিও মাথায় রাখা হয়েছে। নিজেদের আত্মসম্মান ঠিক রেখে উপভোগ করে যেতে চায় তারা। কাজেই আমরা এই বিশ্বকাপে ওয়াগদের নতুন স্টাইল দেখতে চলেছি। তবে নতুন লুকে তারা যেখানেই যাবে সেখানেই নজর কাড়বে।’ আসর চলাকালে প্রমোদতরীতে অবস্থান করবেন ইংলিশ ফুটবলারদের সঙ্গীনীরা। ১ বিলিয়ন ডলারের এমএসসি ওয়ার্ল্ড ইউরোপা লাইনার দোহা পোর্টে নোঙ্গর ফেলেছে। আধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে এই লাইনারে। যদিও কোভিড সুরক্ষার কারণে খেলোয়াড়দের সঙ্গে তাদের পার্টনাররা সরাসরি দেখা করতে পারবেন না।