বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বে হাইভোল্টেজ ম্যাচ উপহার দিয়েছে স্পেন ও জার্মানি। রোববার ইউরোপের দুই পরাশক্তির ড্র ম্যাচে নজর কেড়েছে কাতারি দর্শকরা। যারা মুখে হাত দিয়ে এবং মেসুত ওজিলের ছবি ও স্কেচ প্রদর্শন করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
মুসলিম অধ্যুষিত কাতারে সমকামী প্রেম নিষিদ্ধ। এর প্রতিবাদ জানিয়ে ‘ওয়ান লাভ’ আর্মব্যান্ড পরে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইউরোপের বেশ কয়েকটি দলের অধিনায়ক। তবে ফিফার আদেশ অনুযায়ী নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারেননি হ্যারি কেইন, গ্যারেথ বেল, ম্যানুয়েল নয়্যাররা। আর্মব্যান্ড পরতে না পারলেও নিজেদের প্রথম ম্যাচে গ্রুপ ফটোশ্যুটের সময় মুখ ঢেকে সমকামিতাকে সমর্থন জানিয়েছিলেন জার্মানরা। এবার নয়্যার-মুলারদের ব্যঙ্গ করে মুখ ঢাকলেন কাতারি সমর্থকরা।
২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দেন মেসুত ওজিল। সাবেক আর্সেনাল মিডফিল্ডারের জাতীয় দল ছাড়ার পেছনে হাত ছিল জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (ডিএফবি) সভাপতি রেইনহার্ড গ্রিন্দেলের। বছর খানেক আগে এক সাক্ষাৎকারে গ্রিন্দেলকে নিয়ে ওজিল বলেছিলেন, ‘বৈষম্যকারী লোকদের এমন বড় ফুটবল ফেডারেশনের দায়িত্ব দায়িত্ব দেয়া উচিত নয়। তাদের আচরণ এমন যে, যখন আমরা জয় পাবো তখন আমরা জার্মান।
আর হারলে আমরা অভিবাসী।’
মূলত ২০১৮ বিশ্বকাপের আগে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে ছবি তুলে বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন তুর্কি বংশোদ্ভূত মেসুত ওজলি ও ইলকাই গুন্দোয়ান। বিশ্বকাপে জার্মানি গ্রুপপর্ব থেকে বাদ পড়ায় সে বিতর্কের আগুন আরো বেড়ে যায়। গোটা দল নয়; বিশ্বকাপ ব্যর্থতায় গুন্দোয়ান-ওজিলকেই দুষছিলেন জার্মানির উগ্র সমর্থকরা। সেই বিতর্কের দায় মেটাতে জার্মান দল থেকে অবসর নেন ওজিল। এরপর খবর বের হয়, উইঘুর মুসলিমদের পক্ষ নিয়ে কথা বলায় আর্সেনাল থেকেও ব্রাত্য হন তিনি। টকস্পোর্ট জানিয়েছে, জার্মানদের সেই বৈষম্যপূর্ণ আচরণের প্রতিবাদ জানিয়ে মেসুত ওজিলের ছবি প্রদর্শন করেন কাতারি দর্শকরা।