টেস্ট দলের নেতৃত্বে আসার পর কখনোই পূর্ণ শক্তির দলটা পাননি মুমিনুল হক। তার অধিনায়কত্বে ৬ ম্যাচে একমাত্র জয় এসেছে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে। কখনো মুশফিক, কখনো সাকিব-তামিমের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটার দলের বাইরে ছিলেন। এবার শ্রীলঙ্কা সফরে যেমন সাকিব-মুস্তাফিজকে পাচ্ছে না বাংলাদেশ। দুই জনই দেশের টেস্ট বাদ দিয়ে খেলতে গেছেন আইপিএল।
অধিনায়ক মুমিনুল অবশ্য সিনিয়রদের অনুপস্থিতিকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাতে চান না। মনে যাই থাকুক, প্রকাশ্য সংবাদ সম্মেলনে বললেন, তাদের না থাকা দলে বড় প্রভাব ফেলছে না। তরুণদের নিয়ে আশাবাদী মুমিনুল। সমর্থন দিয়ে তরুণদের পাশে থাকতে চান টেস্ট অধিনায়ক।
সাকিব-মুস্তাফিজ না থাকায় লঙ্কা সফরেও পূর্ণ শক্তির দল নেই। এসবের কারণেই দল হারের বৃত্তে কি না জানতে চাইলে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে মুমিনুল বলেছেন, ‘আমার কাছে মনে হয় না সাকিব ভাই বা মুস্তাফিজ না থাকলে দলের ফলাফল হবে না। দেখেন খেলোয়াড় তো আরো আছে। ওনাদের তো ১০-১২টা হাত না। বাকিদেরও ১০-১২টা হাত না। আমার কাছে মনে হয় না এর কোনো প্রভাব পড়ে। আমরা হয়তো দলগতভাবে খেলতে পারছি না এই কারণে ইতিবাচক ফলাফল হচ্ছে না।’
সিনিয়রদের দায়িত্ব নিতে তরুণরা কতটা প্রস্তুত? তরুণরা অবশ্য অধিনায়কের আস্থার হাতই পাচ্ছেন, ‘যখন একজন জুনিয়র নিয়ে খেলবেন সে সব সময়ই আশা করবে একটা ভালো কিছু করার জন্য। দেশের জন্য অবদান রাখার জন্য। ঐ অবদানটা রাখার জন্যই সে খেলে। আমার কাছে মনে হয় সে সময় তাকে সমর্থন দেওয়া উচিত। আমার কাছে মনে হয় তরুণরা পুরোপুরি প্রস্তুত কিন্তু মাঝেমধ্যে ব্যর্থ হয়। সে সময় ওদের সমর্থন দেওয়াটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
তবে দলের টানা হার, সমালোচনার চাপ অধিনায়ক হিসেবে হজম করে ফেলেছেন মুমিনুল। গতকাল বলেছেন, ‘আপনি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করছেন, আপনার এতটুক চাপ তো থাকবেই, এতটুকু চাপ তো আপনাকে নিতে হবেই, যখন ফলাফল হবে না। আমি জিনিসটা হজম করে নিয়েছি যে আমি দলের অধিনায়ক, আমার হয়তো এতটুকু চাপ নিতে হবে। এতটুকু চাপ নেওয়ার ক্ষমতা আছে আমার।’