ছবি: সংগৃহীত
ভারতের কেরালা রাজ্যের শিক্ষক গিরিজা হরিকুমারের উদ্যোগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গণচাঁদার (ক্রাউডফান্ডিং) আহ্বান করা হলে ছাত্র সুভদ্রার পরিবারের জন্য ৫৫ লাখ রুপি উঠেছে। তবে এখন সাহায্য নেয়া বন্ধ রয়েছে। খবর বিবিসির।
এর আগে ঘরে খাওয়ার মতো কিছু নেই। উপায়ান্তর না দেখে ছেলের শিক্ষকের কাছে খাবার কেনার জন্য ৫০০ রুপি সাহায্য চেয়েছিলেন ভারতের কেরালা রাজ্যের গৃহবধূ সুভদ্রা (৩৬)। গত আগস্টে স্বামী মারা যান। এরপর থেকে সন্তানদের নিয়ে সমস্যায় ছিলেন সুভদ্রা। তিন সন্তানের মধ্যে ছোটটি সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত থাকায় সার্বক্ষণিক ছেলের পাশে থাকতে হয়, ফলে কোনো চাকরিতেও আবেদন করতে পারেননি।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শিক্ষক গিরিজা হরিকুমার অবশ্য তার ছাত্র অভিষেককে বাবা মারা যাওয়ার পরপরই বলেছিলেন, সমস্যা থাকলে জানাতে। এতদিন না বললেও পরিস্থিতি প্রতিকূল দেখে গত শুক্রবার শিক্ষকের কাছে ৫০০ রুপি চান অভিষেকের মা। পরে শিক্ষক গিরিজা হরিকুমার ছাত্রের বাড়িতে যান এবং অবস্থা দেখে নিজে থেকে এক হাজার রুপি দেন। তবে হরিকুমার বলেন, ‘এই সামান্য অর্থে তাদের সমস্যার কোনো সমাধানই হবে না।’
ছাত্রের বাসা থেকে ঘুরে এসে ওই শিক্ষক ছাত্রের পরিবারের অবস্থা তুলে ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্রাউডফান্ডিং আহ্বান জানিয়ে প্রচারণা শুরু করেন। পোস্টে সুভদ্রার ব্যাংক একাউন্ট নম্বর জুড়ে দেন। দুদিন পরই তা ভাইরাল হয় এবং রবিবার নাগাদ একাউন্টে ৫৫ লাখ রুপি জমা হয়।
কেএইচ