শুক্রবার ২৩ ডিসেম্বর রাতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের শেখ কামাল মিলনায়তনে বাংলাদেশ বডিবিল্ডিং ফেডারেশনের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পুরষ্কারে লাথি মেরে বডিবিল্ডার জাহিদ হাসান শুভ। এরপর বেশ সরগরম দেশের ক্রীড়াঙ্গন।
সেই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে নানা মন্তব্য করেন বডিবিল্ডার জাহিদ হাসান শুভ। অন্যদিকে রোববার (২৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ বডিবিল্ডিং ফেডারেশন প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অখেলোয়াড় সুলভ আচরণ ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণ দেখিয়ে জাহিদ হাসান শুভকে আজীবন বহিষ্কার করলেও নিশ্চুপ ছিল ফেডারেশন।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) জাহিদের ইভেন্টে দ্বিতীয় হওয়া, তাকে আজীবন নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত এবং এর প্রেক্ষিতে জাহিদের বক্তব্য সামগ্রিক সব কিছু নিয়ে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ বডি বিল্ডিং ফেডারেশন।
সংবাদ সম্মেলনে বডিবিল্ডিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা নাকি তাকে ধাক্কা দিয়ে স্টেজ থেকে নামিয়ে দিয়েছি। এমন মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন তিনি। আসলে পুরস্কার গ্রহণের পর সে আমার কাছে মাইক্রোফোন চায়। তখনও প্রথম স্থান অধিকারকারীকে পুরস্কার গ্রহণের সুযোগ দেয়ার জন্য এবং নিয়ম ও কনভেনশন না থাকাতে তাকে পরবর্তী সময়ে ফটোসেশনে অংশগ্রহণ করতে মঞ্চের ডান উইং-এ যাওয়ার জন্য অঙ্গুলি নির্দেশনা দিই আমি।
তিনি আরও বলেন, ‘একজন ক্রীড়াবিদ প্রথম কিংবা দ্বিতীয় হতেই পারেন। সব রকম ফলাফলের জন্য তাকে প্রস্তুত থাকতে হবে। কিন্তু জাহিদ যা করেছেন তা কোনভাবেই একজন ক্রীড়াবিদের কাছ থেকে আশা করেন না কেউ।’
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘শুভ বলে বেড়াচ্ছেন যিনি প্রথম হয়েছেন তিনি আমার মেয়ে জামাই। আমি অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আমার কোনো মেয়েই নেই। মেয়ে জামাই আসবে কোথা থেকে?’
জাহিদকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, পুরস্কারে লাথি মেরে, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জাতির কাছে বডিবিল্ডিংকে হেয় প্রতিপন্ন করেছে জাহিদ। সেভাবেই জাতির কাছে তাকে ক্ষমা চাইতে হবে। তারপর তার আজীবন বহিষ্কারাদেশ তুলে নেয়ার বিষয়টি আমরা বিবেচনা করব।