পুরোনোকে বিদায় করে এসেছে নতুন বছর। সময় অতীত হয়ে গেলেও বিদায়ী বছরটাকে নিশ্চয় আজীবন মনে রাখবেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি। শুধু মনেই রাখবেন না, হয়তো চাইবেন সোনার অক্ষরে লিখে রাখতে। বিদায়ী ২০২২ সালেই যে নিজের জীবনের পরম আরাধ্য বিশ্বকাপ শিরোপা হাতে তুলেছেন মেসি।
২০২২ সালের একবারে শেষভাগে এসে জিতেছেন বিশ্বকাপ, ইতি টেনেছেন আর্জেন্টিনার ৩৬ বছরের অপেক্ষার। এমন একটি বছর দুর্দান্তভাবেই উপভোগ করার কথা এলএম টেনের। তিনি করেছেনও তাই।
বিশ্বকাপ জয়ের পরই দেশে ফিরে উৎসবে মেতেছেন ফুটবলের এই জীবন্ত কিংবদন্তি। ক্রিসমাসের পার্টি করেছে সাবেক সতীর্থ আর বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে। এতো আনন্দ উৎসবের মধ্যেও অবশ্য নিজের কাছের মানুষ, বন্ধ, সতীর্থ আর ভক্ত-অনুরাগীদের নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি সদ্য বিশ্বজয়ী এই তারকা।
২০২২ সালের শেষ দিনে নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে তিন পুত্র ও স্ত্রীসহ নিজের চারটি ছবি শেয়ার করে মেসি লেখেন, ‘এমন একটা বছর শেষ হলো, যা আমি কখনো ভুলব না। যে স্বপ্নের পেছনে ছুটেছি, সেটা অবশেষে সত্যি হয়েছে।’
পরিবার ও বন্ধুদের নিয়েও আর্জেন্টাইন এই মহাতারকা লিখেছেন, ‘আনন্দটা ভাগ করে নেওয়ার মতো আমার দারুণ একটা পরিবার না থাকত তবে এসবের কোনো অর্থই থাকত না। আমি যখনই পড়ে গেছি, তখন যারা আমাকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেয়নি, যারা আমাকে সবসময় সমর্থন করে গেছে যদি সেসব বন্ধুরা না থাকত তবুও এসব ছিলো অর্থহীন।’
নিজের কাছের মানুষদের পাশাপাশি বিশ্বজোড়া অগণিত ভক্তকেও ভোলেননি মেসি। নিজের ভক্ত-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে মেসি লেখেন, ‘এই বিশেষ স্মৃতিটা আমি তাদের সঙ্গেও ভাগ করে নিতে চাই, যারা আমাকে অনুসরণ করে, আমাকে সমর্থন করে। এই ভ্রমণটা আমি আপনাদের সবার সঙ্গে ভাগ করতে পেরেছি, বিষয়টা অসাধারণ। আর্জেন্টিনা, প্যারিস, বার্সেলোনা আর বিশ্বজুড়ে অগণিত শহর আর দেশ থেকে আমি যে ভালোবাসা পেয়েছি, তাদের সমর্থন ছাড়া এখানে আসা সম্ভব হতো না আমার পক্ষে।’