অধিনায়ক রোহিত শর্মার সেঞ্চুরির পর রবীন্দ্র জাদেজা ও অক্ষর প্যাটেলের জোড়া হাফ-সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নাগপুর টেস্টের প্রথম ইনিংসে লিড নিয়েছে স্বাগতিক ভারত। প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার ১৭৭ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ৭ উইকেটে ৩২১ রান করেছে ভারত। দ্বিতীয় দিন শেষে ৩ উইকেট হাতে নিয়ে ১৪৪ রানে এগিয়ে টিম ইন্ডিয়া। রোহিত ১২০ রানে আউট হলেও, জাদেজা ৬৬ ও প্যাটেল ৫২ রানে অপরাজিত আছেন।
জাদেজার ৫ উইকেট শিকারে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিনই অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। এরপর নিজেদের ইনিংস শুরু করে দিন শেষে ১ উইকেটে ৭৭ রান করেছিলো ভারত। ৯ উইকেট হাতে নিয়ে ১০০ রানে পিছিয়ে ছিলো টিম ইন্ডিয়া। ৫৬ রানে অপরাজিত ছিলেন রোহিত। আগের দিন ২০ রান করে অস্ট্রেলিয়ার টড মারফির বলে আউট হয়েছিলেন ওপেনার লোকেশ রাহুল।
নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা রবীচন্দ্রন অশ্বিনকে নিয়ে দ্বিতীয় দিন দলের রানের চাকা সহজেই ঘুড়িয়েছেন রোহিত। অশ্বিন-রোহিতের জুটিতেই ১শ রান পার হয় ভারতের। দলীয় ১১৮ রানে অশ্বিনকে থামিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা ডান-হাতি অফ-স্পিনার টড মারফি। ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৩ রান করেন অশ্বিন।
চার নম্বরে নেমে সুবিধা করতে পারেননি চেতেশ্বর পূজারা। মারফির তৃতীয় শিকার হয়ে ৭ রানে ফিরেন পূজারা। ভারতের সেরা ব্যাটার বিরাট কোহলিকেও বড় স্কোর করতে দেননি মারফি। ২টি চারে ১২ রান করা কোহলিকে শিকার করেন মারফি। মারফির ঘুর্ণিতে ভারতের মিডল-অর্ডার যখন বিপদে, তখন চাপ বাড়িয়ে দেন আরেক স্পিনার নাথান লিঁওন। অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা সূর্যকুমার যাদবকে ৮ রানে বোল্ড করেন লিঁওন। এতে ১৬৮ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় ভারত।
এ অবস্থায় দলকে বিপদমুক্ত করেন রোহিত ও জাদেজা। জাদেজার সঙ্গে জুটি গড়ার শুরুতে টেস্ট ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরির দেখা পান রোহিত। সেঞ্চুরির পর ব্যক্তিগত ১২০ রানে রোহিতকে বোল্ড করেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। ২১২ বল খেলে ১৫টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন রোহিত। ষষ্ঠ উইকেটে জাদেজার সাথে ১৩০ বলে ৬১ রান যোগ করেন ভারত দলপতি। অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা উইকেটরক্ষক শ্রীকর ভরতও সুবিধা করতে পারেননি। ভরতকে ৮ রানে আউট করে ইনিংসে পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন মারফি। প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট প্রথমবারের মত ইনিংসে পাঁচ বা ততোধিক উইকেট নিলেন অস্ট্রেলিয়ার মারফি।
২৪০ রানে সপ্তম ব্যাটার হিসেবে ভরতের আউটের পর গুটিয়ে যাবার শঙ্কায় পড়ে ভারত। কিন্তু অষ্টম উইকেটে দুর্দান্ত জুটি গড়ে তা রুখে দেন জাদেজা ও নয় নম্বরে নামা প্যাটেল। টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৮তম হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন জাদেজা। অর্ধশকতের পর সাবধানী হয়ে পড়েন জাদেজা। অন্যপ্রান্তে রান দ্রুত তোলার কাজ করেছেন প্যাটেল। দিনের শেষ ভাগে টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন প্যাটেল। শেষ পর্যন্ত ১৮৫ বলে অবিচ্ছিন্ন ৮১ রান করে দিন শেষ করেছেন জাদেজা ও প্যাটেল। ৯টি চারে ১৭০ বলে জাদেজা ৬৬ এবং ৮টি চারে ১০২ বলে ৫২ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেন প্যাটেল। অস্ট্রেলিয়ার মারফি ৮২ রানে ৫টি ও কামিন্স-লিঁও ১টি করে উইকেট নেন।