লকডাউন ঘোষণায় ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। যার প্রভাব পড়েছে ফেরিফাট সমূহ ও সেতুগুলোর ওপর। চাপ বেড়েছে উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে। দেশের বৃহৎ বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০ হাজার যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে সোয়া কোটি টাকা।
বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ থেকে জানা যায় রোববার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা থেকে সোমবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ৬টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ৩০ হাজারের অধিক যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে প্রায় সোয়া কোটি টাকা। যা স্বাভাবিক সময়ের দ্বিগুণ। পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত যানবাহন, ব্যক্তিগত ছোট যানবাহন ও মোটরসাইকেলের আধিক্য থাকলেও বিপুল সংখ্যক যাত্রীবাহী বাস পারাপার হয়েছে।
এদিকে সকাল থেকেই ঘরে ফেরা মানুষের চাপে মহাসড়কে বেড়েছে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ। মালবাহী ট্রাকসহ খোলা ট্রাকে, পিকআপ, মাইক্রোবাস ও ব্যক্তিগত গাড়িতে গাদাগাদি করে বাড়িতে ফিরছেন যাত্রীরা। ব্যক্তিগত গাড়িতে যাত্রী পরিবহন করায় মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। সংক্রমণ ঝুঁকি নিয়েই বাড়ি ফিরছে তারা।
অন্যদিকে দূরপাল্লার গণপরিবহন চলাচল বন্ধের ঘোষণা থাকলেও মানছেন না অনেক পরিবহন চালকরা। রাস্তায় চলতে দেখা গেছে।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসির আরাফাত জানান, মহাসড়ক থেকে কোনো যাত্রী যেন পরিবহন না করতে পারে সেজন্য মোড়ে মোড়ে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এর পরেও কিছু বাস গভীর রাতে চুরি করে চলাচল করার চেষ্টা করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।