মারা গেছেন বিশিষ্ট লেখক, গীতিকবি, চিত্রনাট্যকার ও নির্মাতা আহমেদ ইউসুফ সাবের। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আজ সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৬টায় তিনি ধানমন্ডির নিজ বাসভবনে হার্ট অ্যাটাক করেন। এ সময় তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত তাঁকে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আহমেদ ইউসুফের স্ত্রী হাসিনা ইউসুফ। তাঁদের দুই মেয়ে চৈতি ও মিতু। চৈতি থাকেন যুক্তরাষ্ট্রে আর মিতু কানাডায়। সাবেরের দীর্ঘদিনের সহকর্মী সাংবাদিক ও প্রযোজক দেওয়ান হাবিব জানিয়েছেন, আগামীকাল বাদ জুমা জানাজা শেষে তাঁকে হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হবে। মেয়েরা দেশে এলে আহমেদ ইউসুফ সাবেরকে দাফন করা হবে।
আহমেদ ইউসুফ সাবেরের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে। সংগীতশিল্পী, অভিনয়শিল্পী, পরিচালক, গীতিকার, প্রযোজকসহ অনেকেই শোক প্রকাশ করছেন। শোক বার্তা দিয়েছে ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশ, বাংলাদেশ গীতিকবি সংঘসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
অভিনেত্রী ডলি জহুর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘এমনভাবে এক ঝটকায় চলে গেলা ভাই? কদিন আগেও কথা বললাম। কেমন আছো জানতে চাইলে বললে, ভালোই আছি। বললাম, আসব শিগগিরই। গরমটার জন্যে কোথাও যেতে ইচ্ছে করে না। আর দেখা হলো না। কী হলো এটা?’
শিল্পী মোমিন বিশ্বাস তাঁর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লিখেছেন, ‘সাবের ভাই, বিশ্বাস হচ্ছে না আপনি আর নেই। অনেক দিন গান লিখেন না বলে আমার জন্য কিছুদিন আগেই নতুন একটা গান লিখে পাঠালেন! সাবের ভাই মারা গেছেন, কিন্তু মানুষের অন্তরে তিনি ঠিকই বেঁচে থাকবেন।’
আহমেদ ইউসুফ সাবেরের লেখা কয়েকটি জনপ্রিয় গান হলো ‘তাকে বলে দাও আমি সেদিনের’ (ফিডব্যাক), মায়াবী এই রাতে (সুমনা হক), সংগীতা চমকে গেল (এন্ড্রু কিশোর) ইত্যাদি। এ ছাড়া তিনি বহু নাটক ও সিনেমার সংলাপ, চিত্রনাট্য ও গীত রচনা করেছেন।