আগুনে দগ্ধ হয়ে একে একে মারা গেলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মী মিঠুন দাশ ও আরতি দাশের তিন কন্যা। বাসায় লাগা আগুনে তিন মেয়েকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ এ দম্পতি।
বুধবার (১২ জুলাই) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা যায় এই দম্পতির তৃতীয় সন্তান হ্যাপি রাণী দাশ। তাদের চতুর্থ সন্তান আড়াই বছর বয়সী সুইটি রাণী দাশ প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছে।
গত ২০ জুন চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানার বান্ডেল রোডের সেবক কলোনিতে মিঠুন দাশের বাসায় আগুন লাগে। আগুনে দগ্ধ হয় মিঠুনের চার মেয়ে। তারা হলো- সারথী রাণী দাশ (১৭), সাখশী রাণী দাশ (১৩), হ্যাপি রাণী দাশ (৬) ও আড়াই বছর বয়সী সুইটি রাণী দাশ। এরমধ্যে ১৯ দিনের মধ্যে চট্টগ্রাম ও ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে তিন মেয়ে।
মিঠুন দাশ জানান, ঘটনার পর চার জনকে নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করানো হয়।
এরমধ্যে ২৪ জুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় চমেক হাসপাতালে মারা যায় সাখশী রাণী দাশ। আর ৩০ জুন ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা যায় সারথী দাশ।
মিঠুন দাশের প্রতিবেশী মিলন দাশ জানান, গত ২০ জুন ভোরে মিঠুন দাশ ও আরতি দাশ তাদের চার কন্যাকে বান্ডেল রোডের সেবক কলোনির বাসায় রেখে প্রতিদিনের মতো ভোরে কাজে চলে যান। এরমধ্যে সকালে তাদের বাসায় বিকট শব্দে আগুন ধরে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন চার মেয়েকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে। প্রথমে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় চমেক হাসপাতালে। সেখানে ২২ জুন দুই মেয়ে সারথী ও হ্যাপি দাশকে পাঠানো হয় ঢাকায়।