লালমনিরহাটের ৩৪৮ জন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘর পেয়েছেন। বুধবার (৯ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন।
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের চতুর্থ পর্যায়ে প্রতিটি পরিবার দুই শতাংশ জমিসহ একটি করে ঘর পেয়েছেন। এ সময় উপকারভোগীদের চোখেমুখে ছিল উচ্ছ্বাস।
ঘর পাওয়া আব্দুর রহিম বলেন, ‘ম্যালা দিনের আশা আছিল পাকা ঘরোৎ থাকির। এইবার মোর আশা পূরণ হইলো।’
প্রতিবন্ধী মাকসুদার রহমান হাত দিয়ে চালানো একটি গাড়িতে চরে ভিক্ষাবৃত্তি করেন। তিনিও জানালেন উচ্ছ্বাসের কথা।
কাকিনা ইউনিয়নের রুদ্রেশ্বর গ্রামের জরিনা বেগম বলেন, ‘আমরা ঘর পেয়ে খুব খুশি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে ঘর দিয়েছেন, আল্লাহ যেন তার মনের আশা পূরণ করেন।’
ষাটোর্ধ অহেদা খাতুন বলেন, ‘আগে মানুষের জমিতে থাকতাম। এই ঘর পেয়ে অত্যন্ত খুশি। এখন আর বৃষ্টির রাতে জেগে বসে থাকতে হবে না। সরকার আমাকে জমিসহ পাকা ঘর দিয়েছেন। আমরা এখন নিজের পাকা ঘরে থাকবো।’
ঘর পেয়ে আলম, মোহাম্মদ আলী, হাজেরাসহ বেশ কয়েকজন উপকারভোগী সরকারকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
কালীগঞ্জের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফেরদৌস আহমেদ বলেন, ‘কাকিনা ইউনিয়নের নদী লাগোয়া খাস জমিগুলোকে বেছে নেওয়া হয়েছে উপহারেরে ঘরের জন্য।’
আদিতমারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মফিজুল হক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে যে ডিজাইন ও যেভাবে করতে বলা হয়েছে- সেরকমভাবেই প্রতিটি ঘর করা হয়েছে।’
ইউএনও জহির ইমাম বলেন, ‘বাংলাদেশের একজন মানুষও ভূমিহীন বা গৃহহীন থাকবেন না- প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের অংশ হিশেবে কালীগঞ্জে চতুর্থ পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে ১৫৭টি পাকা ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, ‘ইতোমধ্যে চতুর্থ ধাপের ঘর বিতরণ করা শেষ হলো। আমাদের জেলাতে এখনও গৃহহীন ও ভূমিহীন রয়েছে। আমরা পঞ্চম পর্যায়ের যাচাই-বাছাই করছি।’