দুর্নীতিদমন বিরোধী আইন লঙ্ঘন করায় প্রাক্তন জিম্বাবোয়ে অধিনায়ক হিথ স্ট্রিককে ৮ বছরের জন্য নির্বাসিত করেছে আইসিসি৷ জানা গিয়েছে, ২০১৮ আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বোলিং কোচ থাকাকালীন বুকিকে তথ্য সরবরাহ করেছিলেন প্রাক্তন এই জিম্বাবোয়েন ফাস্ট বোলার৷ এর জন্য শাস্তির খাড়া ঝুলতে পারে কিং খানের দলের উপরও৷
আইপিএলের নিয়মানুযায়ী দলের কোনও খেলোয়াড়া বা সাপোর্ট স্টাফ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলে তার দায়ভার নিতে হবে ফ্র্যাঞ্চাইজিকে৷ যেমন অতীতে চেন্নাই সুপার কিংস ও রাজস্থান রয়্যালেসে আধিকারিকরা ম্যাচ গড়াপেটায় যুক্ত থাকায় দু’বছরের জন্য নির্বাসিত হয়েছিল এই দুই ফ্র্যাঞ্চাইজি৷ তাহলে কেকেআর-এর বিরুদ্ধেও কি এমনটা দেখা যেতে পারে৷ বোর্ডের তরফে এখনও কোনও বিবৃতি দেওয়া না-হলেও আইসিসি-র কাছ রিপোর্ট পাওয়ার পর বিষয়টি বিবেচনা করবে বিসিসিআই৷
আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্স ছাড়াও গুজরাত লায়ন্স দলের সাপোর্ট স্টাফ হিসেবেও কাজ করেছিলেন স্ট্রিক। এছাড়াও বাংলাদেশেরও বোলিং কোচের দায়িত্ব সামলেছেন জিম্বাবোয়ের এই প্রাক্তন পেসার। বিভিন্ন দলের কোচ থাকার সময় তিনি ম্যাচ গড়াপেটা সংক্রান্ত দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে৷ আইপিএল ছাড়াও বাংলাদেশ প্রিমিয়র লিগ, আফগানিস্তান প্রিমিয়র লিগে কোচ থাকাকালীন অনেকবার আইসিসি–র দুর্নীতি দমনবিরোধী আইন ভঙ্গ করেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
২০১৭ ও ২০১৮ সালের বেশ কিছু ম্যাচ নিয়ে সন্দেহ তৈরি হওয়ার তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে৷ বুকিদের সঙ্গে দলের ক্রিকেটারদের যোগাযোগে মধ্যস্থতাকারীর ভুমিকা পালন করেছিলেন স্ট্রিক। এ ছাড়াও তিনি দলের ভিতরের গোপন তথ্য ফাঁস করেছেন বলেও অভিযোগ। জিম্বাবোয়ে, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে ২০১৮ সালে ত্রিদেশীয় সিরিজ, জিম্বাবোয়ে–আফগানিস্তান সিরিজ এবং ২০১৮ আইপিএল ও এপিএলে তিনি তথ্য ফাঁস করেছিলেন। আইসিসি–র দুর্নীতি দমন শাখার সামনে সব অভিযোগ স্বীকার করেন নেন প্রাক্তন জিম্বাবোয়ে অধিনায়ক৷