অবরোধ চলাকালীন সময়ে গণপরিবহন চালানোর ঘোষণা দিয়েছিল টাঙ্গাইল বাস-কোচ মিনিবাস মালিক সমিতির নেতারা। তবে বুধবার (৮ নভেম্বর) বিএনপির ডাকা তৃতীয় দফা অবরোধের প্রথম দিনেই মালিক সমিতির কোনও নেতার বাস চলাচল করেনি। ফলে শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড থেকে ঢাকাসহ দূরপাল্লার উদ্দেশে কোনও বাস ছেড়ে যায়নি।
তবে সকালের দিকে চন্দ্রা পর্যন্ত সাতটি বাস ছেড়ে গেছে। যদিও সমিতির নেতারা জানিয়েছেন, পর্যাপ্ত যাত্রী না থাকায় বাসগুলো চলাচল করছে না।
এর আগে, সোমবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলে নতুন বাস টার্মিনালে মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের মত বিনিময় সভায় অবরোধের মধ্যে গণপরিবহন চলাচল করার ঘোষণা করেছিল সমিতির নেতারা।
জানা যায়, ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত টাঙ্গাইল নতুন বাসস্ট্যান্ড থেকে গাজীপুরের চন্দ্রা পর্যন্ত ঝটিকা, ধলেশ্বরী ও সার্বিক পরিবহনের কয়েকটি বাস ছেড়ে গেছে। এ ছাড়াও ময়মনসিংহের উদ্দেশে ছেড়েছে ১০টি বাস। তবে বেলা বাড়ার পর কোনও বাস যাত্রী নিয়ে বাসস্ট্যান্ড ত্যাগ করেনি।
ধলেশ্বরী বাসের সুপারভাইজার পারভেজ বলেন, ‘টাঙ্গাইল নতুন বাস টার্মিনাল থেকে ঢাকা বা উত্তরবঙ্গে কোনও বাস ছেড়ে যায়নি। ঝুঁকি নিয়ে শুধু চন্দ্রা ও বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড়ে ৮-১০টি বাস ছেড়ে গেছে। অবরোধকারীরা রাস্তায় দাঁড়ালে বাস রেখে চলে আসবো।’
টাঙ্গাইল বাস-কোচ মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি খন্দকার ইকবাল হোসেন বলেন, ‘যাত্রী না থাকায় বাসগুলো চলাচল করছে না। তবে সকালের দিকে টাঙ্গাইল থেকে আমার একটি বাসসহ সাতটি বাস গাজীপুরের চন্দ্রা পর্যন্ত গিয়েছে। এ ছাড়া একই সময়ে ময়মনসিংহের দিকেও ১০টি বাস ছেড়েছে শহরের নতুন বাসট্যান্ড থেকে। ঢাকা থেকে কোনও বাস শহরে প্রবেশ করেনি। এ ছাড়া ময়মনসিংহ থেকে মধুপুর পর্যন্ত কয়েকটা বাস এসেছে।’