টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী অনুপম শাহজাহান জয়ের কাছে পরাজিত হয়েছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। অপরদিকে, টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে ট্রাক প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোজহারুল ইসলাম তালুকদার ঠান্ডুকে পরাজিত করে জয়ী হয়েছেন প্রবীণ রাজনীতিক নেতা আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। তার আরেক ছোট ভাই মুরাদ সিদ্দিকীও পরাজিত হয়েছেন এবারের নির্বাচনে।
টাঙ্গাইলের ৮টি আসনের মধ্যে পাঁচটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও তিনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন। রবিবার (৭ জানুয়ারি) রাতে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম বেসরকারিভাবে তাদের জয়ী বলে ঘোষণা করেন।
নির্বাচিতরা হচ্ছেন টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক, টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তানভীর হাসান ছোট মনির, টাঙ্গাইল-৬ (দেলদুয়ার-নাগরপুর) আসনে আহসানুল ইসলাম টিটু, টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনে খান আহমেদ শুভ ও টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনে অনুপম শাহজাহান জয়। স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনে আমানুর রহমান খান রানা, টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে ছানোয়ার হোসেন।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. কায়ছারুল ইসলাম জানান, ১২টি উপজেলার আটটি সংসদীয় আসনের এক হাজার ৫৬টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটের জন্য ১২ প্লাটুন সেনাবাহিনী, ১৪ প্লাটুন বিজিবি, ১২ প্লাটুন র্যাব ও ১২ হাজার ৬৭২ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য দায়িত্ব পালন করে। এ ছাড়াও প্রতিটি কেন্দ্রে তিন জন পুলিশ সদস্য ও ১৫ জন আনসার সদস্য মোতায়েন ছিল। পুলিশের মোবাইল টিম ছিল ৭৬টি ও স্ট্রাইকিং ফোর্স ছিল ২৪টি টিম।
প্রসঙ্গত, লতিফ সিদ্দিকী কালিহাতী আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ সময়ে মন্ত্রীও হয়েছেন। হজ নিয়ে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর পদ হারান তিনি। পরে মন্ত্রিত্ব থেকে বাদ পড়েন এবং সবশেষে দল থেকে বহিষ্কৃত হন। দীর্ঘদিন রাজনৈতিক অনুষ্ঠান থেকে দূরে ছিলেন। এই নির্বাচনের কয়েক মাস আগে ছোট ভাই কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে এক মঞ্চে ওঠেন লতিফ সিদ্দিকী। এরপর থেকে তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে নির্বাচনি মাঠে প্রচারণা চালান।