শেষ ২ বলে দরকার ৫ রান। উইকেটের এক প্রান্তে সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া সঞ্জু স্যামসন। অন্য প্রান্তে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং অলরাউন্ডার ক্রিস মরিস। পঞ্চম বলে রান নেওয়ার সুযোগ ছিল কিন্তু রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক মরিসের ওপর ঠিক ভরসা পাননি। তাই প্রান্ত বদল করেননি। রান নিতে মরিয়া মরিস অবিশ্বাস্য চাহনি নিয়ে ফিরে আসেন নিজের প্রান্তে। শেষ বলে স্যামসনও জয় তুলে নিতে পারেননি। ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। গত সোমবার পাঞ্জাব কিংসের কাছে ৪ রানে হারের সেই ম্যাচে স্যামসনের সিদ্ধান্ত অনেককেই অবাক করেছে।
কাল আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে রাজস্থানের ৩ উইকেটে জয়ের পর সেই বিস্ময় প্রশ্নবোধক চিহ্নে রূপান্তরিত হওয়াই স্বাভাবিক। ৪ ছক্কায় ১৮ বলে ৩৬ রানের দারুণ এক অপরাজিত ইনিংসে রাজস্থানকে জয় এনে দেন মরিস। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, রাজস্থানের আগের ম্যাচে স্যামসন ঠিক কী ভেবে মরিসকে শেষ বলে স্ট্রাইক দেননি? পঞ্চম বলে ১ রান নিলে শেষ বলে জয়ের জন্য ৪ রান দরকার হতো রাজস্থানের। শেষ বলে ছক্কা মারার ঝুঁকিটাও কমে আসত। যদিও মারমুখী ব্যাটিংয়ে মরিসের সামর্থ্য প্রায় সবারই জানা।
দিল্লির বিপক্ষে জয়ের পর সেই ম্যাচের ঘটনা নিয়ে কথা বলেন মরিস, ‘আমি দৌড়ে ফিরে গেছি, সে জন্য যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে হলে করতাম। কারণ, সঞ্জু বল খুব ভালো ব্যাটে লাগাচ্ছিল। এমন ব্যাটিং স্বপ্নের মতো। শেষ বলে সে ছক্কা মারলে অবাক হতাম না।’ দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৪২ ওয়ানডে ও ২৩ টি–টোয়েন্টি খেলা মরিস এরপর নিজের সম্পর্কে বলেন, ‘কেউ লম্বা সময় ব্যাট করার জন্য টাকা পায়, কেউ আবার মেরে খেলার জন্য টাকা পায়। আমার কী দায়িত্ব, সেটা জানি। মেরে খেলাটাই আমার কাজ। সেটা পারিও, কারণ গলফ খেলি।’ মরিস বোঝাতে চেয়েছেন, গলফ খেলায় বলে প্রতি স্ট্রোকে যেভাবে হাত ঘোরাতে হয় তা ক্রিকেটে মেরে খেলায় কাজে লাগে।