দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে দাপট দেখিয়ে সিরিজ জিতে নিয়েছে পাকিস্তান। ব্যাট হাতে বাবর আজম-ফখর জামানরা দুর্দান্ত সময় পার করলেও নিষ্প্রভ ছিলেন আসিফ আলী ও হায়দার আলীরা। এই দুই ক্রিকেটার ভালো করতে না পারায় শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা।
হায়দার-আসিফদের ব্যর্থতার সঙ্গে নিজের নাম জড়ানোর কারণে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন মিসবাহ উল হক। পাকিস্তানের এই প্রধান কোচ মনে করেন, কেউ ভালো করলে তাঁকে কৃতিত্ব দেয়া হয় না। কিন্তু একজন খারাপ করলেই মিসবাহর দোষ হয়ে যায়।
ওয়ানডেতে দুই ম্যাচে সুযোগ পেয়ে মাত্র ২১ রান করেছিলেন আসিফ। একই চিত্র দেখা গেছে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও। যেখানে সমান দুই ম্যাচ খেলে করেছেন মোটে ৫ রান। আসিফের মতো ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন হায়দার। তরুণ এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান ৪ ম্যাচে করেছেন মাত্র ২৯ রান। এই দুজন ব্যর্থ হওয়ায় অনেকে মিসবাহকে দোষারোপ করছেন।
এ প্রসঙ্গে মিসবাহ বলেন, ‘আসিফ আমার কাছে একজন খেলোয়াড়। নির্বাচকরা তার পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে তাকে দলে নেয়। যে ভালো পারফর্ম করে তাকে সমর্থন করি। আমি সবাইকে সমানভাবে সমর্থন করি কিন্তু মিডিয়াতে মনে হয় আমার নামটি এমন খেলোয়াড়ের সঙ্গে জড়ানো হয় যে পারফর্ম করেনি। যারা ভালো করেছে তাদের ক্ষেত্রে উল্লেখ করে না।’
ভবিষ্যত দল সাজানোর জন্য দলে তরুণদের সুযোগ দিচ্ছে পাকিস্তান। তরুণদের পারফরম্যান্স নিয়ে এখনই হতাশ হতে চান না মিসবাহ। পাকিস্তানের এই প্রধান কোচ জানিয়েছেন, পাওয়ার হিটাররা প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারলেও সুযোগ দেবেন। সেই সঙ্গে তরুণদের সুযোগ দিতে চান এবং দলের ভালো একটি সম্বনয় তৈরি করতে চান।
মিসবাহ বলেন, ‘দলে বেশ কয়েকজন নতুন মুখ রয়েছে। আমরা তাদেরকে সুযোগ দিতে পারি এবং ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করব। এখানে গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় হচ্ছে সিরিজ জেতা। যদি আমরা হারতাম তাহলে কথা বলা শুরু করতাম। আমরা তরুণদের সুযোগ দেবো এবং দলের ভালো সমন্বয় তৈরি করাও গুরুত্বপূর্ণ। ২০০ রান করা বর্তমান বিশ্বে সাধারণ বিষয়। আমাদের পাওয়ার হিটাররা প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। আমরা তাদেরকে সুযোগ দিচ্ছি।’