Image default
বিনোদন

ট্রোলারদের পাল্টা জবাব দিলেন ইমন-লোপামুদ্রা

শেষ হয়েও রেশ থেকে যাচ্ছে জি বাংলার সারেগামাপা ২০২০-র। প্রতিযোগিতার ফল থেকে বিচারক এবং বিজয়ীকে নিয়ে বিতর্ক সমাপ্ত আর হচ্ছে না । ফাইনালে চ্যাম্পিয়ান হওয়ার যোগ্য দাবিদার ইমনের টিমের প্রতিযোগী অর্কদীপ মিশ্র নয়। বরং তাঁর জায়গায় নীহারিকা বা অনুষ্কাই সারেগামাপা-র বিজয়ী হওয়ার যোগ্য।

সারেগামাপা ২০২০-র বিচারক ছিলেন শ্রীকান্ত আচার্য, জয় সরকার, আকৃতি কক্কর,মিকা সিংয়ের মতো স্বনামধন্য সংগীত শিল্পীরা। ফাইনালের দিন সেই মঞ্চে যোগ দেন মুম্বইয়ের সংগীত জগতের তিন নক্ষত্র- শংকর মহাদেবন, শান ও কেকে। অর্কদীপকে কেন বিজয়ী করা হল এই নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন। ‘টাকা দিয়ে সেরা হয়েছে অর্কদীপ’, ‘বিচারকরা অস্বচ্ছ, অযোগ্য’- এমন মন্তব্যে ছেয়ে গেছে সোশ্যাল সাইট।এবার এই নিয়ে মুখ খুললেন ইমন চক্রবর্তী ও জয় সরকারের স্ত্রী লোপামুদ্রা মিত্র।

ট্রোলারদের পাল্টা জবাব দিলেন ইমন-লোপামুদ্রা
ছবি: kolkata24x7.com

সোমবার দুপুরে ফেসবুক লাইভে এসে ট্রোলারদের পালটা জবাব দিলেন জাতীয় পুরস্কার জয়ী গায়িকা ইমন চক্রবর্তী বলেন,’ একটা ছেলে প্রথম হয়েছে, তাঁকে নিয়ে এত ম্যানুপুলেশন কেন হচ্ছে? ওর মনের অবস্থাটা ভেবে দেখেছেন? ওখানে যারা বিচারকের আসনে রয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকে পারদর্শী, গান বাজনা শিখে ওখানে বসেছেন। শঙ্কর মহাদেবেন,মিকা সিং,শ্রীকান্ত আচার্য, জয় সরকারকে নিয়ে আপনারা কী কমেন্ট করছেন? নিজেদের কোথায় নামাচ্ছেন?’ তিনি আরও বলেন অর্কদীপের বদলে অন্য কেউ বিজয়ী হলেও একইরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হত।অর্ক প্রথম না হয়ে যদি নীহারিকা প্রথম হলে এতো বক্তব্য সেটা থাকত। অনেকের মনে হত,নীহারিকা কেন প্রথম হল?

বিচারকদের টাকা দেওয়া হয়েছে অর্কদীপকে বিজয়ী করানোর জন্য ,এই মন্ত্যব্য প্রসঙ্গে ইমন বলেন,’আপনারা বলছেন আমি টাকা খাইয়েছি? আমার এতো পয়সাই নেই, আমি নিজের জন্য কোনওদিন টাকা খাওয়াইনি। টাকা খাওয়ানোর হলে আমি সৌম্যদীপ্তাকে রাখতাম, জ্যোতিকে রাখতাম, আমার টিমের সবাইকে রাখতাম।কেন এই ধরণের নোংরা নোংরা কমেন্ট করছেন? কারুর গান শুনতে ভালো না লাগলে শুনবেন না।কিন্তু কাউকে এইভাবে আক্রমণ করবেন না’।

ট্রোলারদের পাল্টা জবাব দিলেন ইমন-লোপামুদ্রা
ছবি: bdnewshour24.com

এবার তার সপাট জবাব দিলেন সুরকার জয় সরকারের স্ত্রী সংগীত শিল্পী লোপামুদ্রা মিত্র। এক নেটনাগরিকের কুমন্তব্যের জবাবে তিনি লেখেন, ‘গত ২০ বছর আমি জয় সরকারের মতো একজন আদ্যপান্ত গানবাজনা প্রেমিক মানুষের সঙ্গে থাকি। তাঁকে চিনি হাড়ে-মজ্জায়। সঙ্গী অর্কদীপের পাশে দাঁড়িয়ে লোপার পালটা প্রশ্ন- ‘ছেলেটির কি দোষ? ওর উপর কতটা মানসিক চাপ পড়ছে, ওর যন্ত্রণা একবারও ভেবে দেখছেন? প্রথম হয়ে সে যেন ফাঁসির আসামী! জেতাটাকে উপভোগ করতে পারছে না বেচারা।পরের বছর তো এই সিজনের প্রতিযোগিদের সকলে ভুলে যাবেন। এক বছর চড়া আলোর কেন্দ্রবিন্দুতে থাকার পর এক অদ্ভুত ইঁদুরদৌড়ে নেমে পড়বে ওরা’।

Related posts

সমাজে প্রশ্ন করার, দ্বিমত করার জায়গা থাকতে হবে: ফারুকী

News Desk

ইরফানকে ভীষণ মিস করেন ছেলে বাবিল

News Desk

সাফল্যের শিখর ছুঁয়েও মধ্যবিত্ত জীবনযাপন বিজয় দেবেরাকোন্ডার

News Desk

Leave a Comment