আমতলী-তালতলীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছে না মানুষ
বাংলাদেশ

আমতলী-তালতলীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছে না মানুষ

দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় রিমালের অগ্রভাব। এর ফলে ঝোড়ো বাতাস ও বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বঙ্গোপসাগর তৎসংলগ্ন পায়রা নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পানি তিন-চার ফুট বেড়েছে। উপকূলীয় অঞ্চল আমতলী-তালতলীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত এবং আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের পশুরবুনিয়া এলাকার নতুন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে কয়েকটি গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে। তবু আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছে না উপকূলীয় এলাকার মানুষ।

রবিবার (২৬ মে) বিকালে পায়রা, বলেশ্বর ও বিষখালী নদীতে স্বাভাবিকের তুলনায় অন্তত তিন-চার ফুট পানি বেড়েছে। এ সময় পশুরবুনিয়া এলাকার নতুন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে যায়। খবর পেয়ে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আশরাফুল আলম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারেক হাসান ও সিপিপির টিম লিডার মো. রিপন মুন্সিসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। 

সদরের বড়ইতলা এলাকায় দেখা গেছে, পানিতে বেড়িবাঁধের বেশিরভাগ ডুবে গেছে। এখানকার মানুষজন বিকালে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে অনেকে এখনও আশ্রয়কেন্দ্রে যাননি।

বিষখালী নদীর তীরবর্তী কুমড়াখালী এলাকার বাসিন্দা মো. খলিল মিয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের এলাকার বেড়িবাঁধের বেহাল দশা। রাস্তা পার হয়ে পানি ভেতরে ঢুকে পড়েছে। এভাবে যদি রাতেও পানি ঢুকতে থাকে তাহলে গ্রাম তলিয়ে যাবে। আমরা আতঙ্কে আছি। আরেকটু দেখি, এরপর আশ্রয়কেন্দ্রে যাবো।’

সিপিপির সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রিমাল পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। সন্ধ্যা নাগাদ উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে। পায়রা সমুদ্র বন্দর এলাকায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।’

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী (পাউবো) প্রকৌশলী মো. রাকিব মিয়া বলেন, ‘পায়রা নদীতে তিন ফুট পানি বেড়ে বাঁধ ভেঙে গেছে। বাঁধ সংস্করণে কাজ শুরু করেছে পাউবো।’ 

বাড়িঘরে পানি ঢুকেছে

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক মো. মাহতাব হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘জোয়ারের পানির উচ্চতা অনেক বেড়েছে। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য উপকূলীয় শহর ও গ্রামপর্যায়ে মানুষের মাঝে সতর্কবার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।’

তালতলীর ইউএনও সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, ‘উপজেলার অধিকাংশ আশ্রয়কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ। সেগুলো থেকে অন্তত ৫০০ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে এনেছি আমরা। আরও মানুষকে আনতে মাঠে কাজ করছি।’ 

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় যথেষ্ট প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে জানিয়ে আমতলীর ইউএনও মুহাম্মদ আফরাফুল আলম বলেন, ‘১০১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বাঁধ ভাঙা এলাকা পরিদর্শন করেছি। মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসতে কাজ করেছি। ইতোমধ্যে ভাঙা বাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু করেছে পাউবো।’

Source link

Related posts

বদলে গেছে শিমুলিয়া ফেরিঘাট

News Desk

দৃশ্যমান হয়ে ওঠছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল লাইন

News Desk

বাবার অটোভ্যান চুরি করে বিক্রি, টাকা না দেওয়ায় প্রতিবেশীকে হত্যা

News Desk

Leave a Comment