১২৬ রানে অপরাজিত থেকে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছিলেন তিনি। দ্বিতীয় দিনেও আত্মবিশ্বাস টলেনি নাজমুল হোসেন শান্তর। ক্যান্ডির প্রথম টেস্টের প্রথম দিন নিজের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের অভিষেক সেঞ্চুরি তুলে নেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। আজ বৃহস্পতিবার সকালেই সেটিকে দেড়শতে পরিণত করলেন।
যেমন সাবলীলভাবে ব্যাট করছেন শান্ত, তাতে ১৫০ রানের কোটা পূর্ণ করেও তৃপ্ত থাকার কথা না তার। দ্বিতীয় দিনের শুরুতে অবশ্য কিছুটা নড়বড়ে ছিলেন শান্ত। বিশ্ব ফার্নান্দো, লাকমালদের সমীহ করে খেলেছেন। শুরুর দিকে রান পাচ্ছিলেন না, এতে খানিক মনঃসংযোগের নড়ে যায়। তার পরিণতি ভয়াবহ হতে পারতো। সেঞ্চুরি পথে ছোটা অধিনায়ক মুমিনুল হক অল্পের জন্য রক্ষা পান রান আউটের শিকার থেকে।
তবে দ্বিতীয় দিন ক্যান্ডির আকাশের সূর্যের তেজ যত বাড়ে, নিজেকে আস্তে আস্তে মেলে ধরেন শান্ত। দিনের ১০তম ওভারে ফার্নান্দোর ফুলার লেংথের বল মিড অন দিয়ে সীমানা ছাড়া করে পুরোপুরি স্বরূপে ফেরেন শান্ত। এরপর টেস্ট মেজাজের ব্যাটিংয়ে নিজের রানের গতি বাড়াতে থাকেন তিনি। ফলটাও আসে হাতেনাতে ইনিংসের ১১৩তম ওভারে ধনঞ্জয়াকে আউটসাইট এজে চার বানিয়ে ক্যারিয়ারে প্রথম দেড়শর কোটা পূর্ণ করেন এই ২২ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান।
৩৪২ বলে ১৫০ ছোঁয়া শান্ত সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন ২৩৫ বল খেলে। পরের ৫০ করতে ১০৭ বল সময় নেন তিনি। তার দেড়শ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ১৬টি চার ও ১টি ছয়ের মারে।
মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মোহাম্মদ আশরাফুল ও ইমরুল কায়েসের পর ষষ্ঠ বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে দেড়শ রানের স্বাদ পেলেন শান্ত। সবে মিলিয়ে টাইগার পক্ষে শান্তর ইনিংসটি ১৪তম দেড়শ ছোঁয়া ইনিংসটি।
পরিসংখ্যান বলছে টেস্টে শ্রীলঙ্কা দুহাত ভরে দিয়েছে বাংলাদেশকে। এদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি এসেছিল শ্রীলঙ্কাতে। ২০১৩ সালে গল টেস্টে ২০০ রানের ইনিংস খেলেন মুশফিক। একই ম্যাচে ১০ রানের জন্য দ্বিশতক হাতছাড়া করেন মোহাম্মদ আশরাফুল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দেড়শ ছাড়ানো ইনিংস আছে মুমিনুলেরও, ২০১৮ সালে চট্টগ্রামে। এবার ক্যারিয়ারের প্রথম শতককে দেড়শে রূপ দিলেন শান্ত। দেড়শ ছাড়িয়ে ছুটছেন আরও বড় অর্জনের দিকে।