পবিত্র ঈদুল ফিতর ও বৈসাবি উৎসবকে কেন্দ্র করে পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে রাঙামাটি। পলওয়েল পার্ক, ঝুলন্ত সেতু, রাঙামাটি পার্কসহ জেলার পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে নেমেছে দর্শনার্থীদের ঢল। দেশে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছেন ভ্রমণপিপাসুরা।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ঈদের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার সকাল থেকে রাঙামাটিতে পর্যটক আসতে শুরু করেছে। জেলার প্রায় ৭০-৮০ শতাংশ হাটেল মাটেল বুকিং রয়েছে। কাপ্তাই হ্রদের হাউজ বোট ও বিভিন্ন রিসোর্টের কটেজগুলো প্রায় শতভাগ বুকিং। মেঘের রাজ্য সাজেকেও প্রায় ৯০ ভাগ কটেজ বুকিং রয়েছে। পাশাপাশি শনিবার থেকে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত শতভাগ বুকিং হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন তারা।
ঢাকা থেকে রাঙামাটিতে আসা পর্যটক মো. নজরুল ইসলাম জানান, রাঙামাটিতে এসে বোটে কাপ্তাই হ্রদে ঘুরেছি। পলওয়েল পার্কে আসলাম, এখানে হরিণ দেখলাম। খুব ভালো লাগছে।’
আরেক পর্যটক রাতুল জানান, ঈদের ছুটিতে রাঙামাটিতে ঘুরতে এসেছেন। কাপ্তাই হ্রদ, ঝুলন্ত সেতু সবকিছুই দেখবেন তিনি।
সাজেক কটেজ মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক রাহুল চাকমা যম বলেন, ‘সাজেকে প্রচুর পর্যটক আসছে। ৮০-৯০ শতাংশ কটেজ বুকিং রয়েছে। ১৬ তারিখ পর্যন্ত শতভাগ বুকিং থাকবে বলে আশা করছি।’
রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ বলেন, ‘আশা করছি, বান্দরবানের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রভাব রাঙামাটিতে পড়বে না। পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’