গাজীপুরের শ্রীপুরে বাকপ্রতিবন্ধী এক গৃহবধূকে কু-প্রস্তাব দেওয়ার ঘটনার প্রতিবাদ করায় এক গৃহবধূকে যৌন হয়রানি ও মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় শনিবার ওই গৃহবধূ শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন, সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার রামশ্রীমপুর এলাকার মৃত ওহেদ আলীর ছেলে আবুল হোসেন (৩৫), শ্রীপুরের পাথারপাড় (মাওনা সলিং মোড়) এলাকার কফিল উদ্দিনের ছেলে মনির হোসেন (৫০), তার ভাই জাহাঙ্গীর (৪৫) ও মনির হোসেনের স্ত্রী শিরিন আক্তারসহ (৪০) অজ্ঞাত চার-পাঁচ জন।
ওই গৃহবধূর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার সকাল ১০টার দিকে ওই গৃহবধূ মনিরের বাড়ির সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। সে সময় ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া আবুল হোসেন তার পথরোধ করে আপত্তিকর কথাবার্তা বলে এবং কু-প্রস্তাব দেন। গৃহবধূ সে কথা স্বামীকে জানান। ঘটনা শুনে তার স্বামী ও দেবর অভিযুক্তের বাড়িতে গিয়ে এর কারণ জানতে চান। এ সময় মনিরসহ অভিযুক্তরা ওই গৃহবধূ, তার স্বামী ও দেবরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ও হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেন। এরপর ওইদিন বিকাল ৪টায় গৃহবধূ, তার স্বামী ও দেবরকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মনির হোসেন লোক পাঠিয়ে তার বাড়ির সামনে ডেকে নেন। এ সময় মনির গৃহবধূর স্বামীকে গালিগালাজ করেন এবং তার সঙ্গে থাকা অন্য অভিযুক্তরা গৃহবধূসহ তার স্বামী ও দেবরকে মারপিট করেন। তারা শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। মনিরের ভাই জাহাঙ্গীর গৃহবধূকে যৌন হয়রানি করেন। এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে খুন করার হুমকি দেন অভিযুক্ত মনির।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মনির হোসেনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার কথা স্বীকার করে স্থানীয় এক সাংবাদিকের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। থানায় নাকি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এখনও অভিযোগ হাতে পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’