গ্রামের বাড়িতে চিত্রনায়িকা রোজিনার শাড়ি-লুঙ্গি বিতরণ
বাংলাদেশ

গ্রামের বাড়িতে চিত্রনায়িকা রোজিনার শাড়ি-লুঙ্গি বিতরণ

আশির দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রোজিনা শতাধিক দুস্থ নারী ও পুরুষের মাঝে শাড়ি ও লুঙ্গি বিতরণ করেছেন। শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পৌরসভার জুড়ান মোল্লার পাড়ায় নানাবাড়ির উঠানে এসব অসহায় মানুষের মাঝে শাড়ি ও লুঙ্গি বিতরণ করেন।

এ ছাড়া তিনি তার মায়ের নামে ‘দশ গম্বুজ মা খাদিজা জামে মসজিদ’ নির্মাণ করেছেন। সেই মসজিদ ও স্থানীয় একটি এতিমখানায় প্রায় চার শতাধিক রোজাদারকে ইফতার করান তিনি।

এ সময় পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। জাকাতের অর্থ দিয়ে প্রতিবছর এ কর্মসূচি পালন করেন অভিনেত্রী।

পরিবারের সদস্য মো. জাকির সরদার বলেন, ‘প্রতিবছরই আমাদের রেজিনা আপা ঈদের আগে তার নানাবাড়ি এলাকায় অসহায় মানুষের মাঝে শাড়ি ও লুঙ্গি বিতরণ করেন। এ বছরও শতাধিক শাড়ি-লুঙ্গি বিতরণ করছেন। রোজিনা আপা আমাদের গ্রামের বাড়ি এলেই স্থানীয়রা অনেক খুশি হয়। তার এই মহৎ কাজের জন্য আমরা সব সময় দোয়া করি। তিনি যেন সারা জীবন অসহায়দের পাশে থেকে সেবা করতে পারেন।’

উপকারভোগী সেকেন আলী শেখ বলেন, ‘বয়সের ভারে তেমন কাম কাইজ করতে পারি না। মাইনষের কাছে চাইয়া-চিন্তা চলতে হয়। আইজ রোজিনা আপা আমারে ডাইকা একটা লুঙ্গি দিছে। এহন আর চিন্তা নাই। অন্তত এই বছরডা চইলা যাবেনে।’

স্থানীয় বাসিন্দা মাঈনদ্দিন মানু বলেন, ‘দেশের জনপ্রিয় নায়িকা রোজিনা ম্যাডাম প্রতিবছরের ন্যায় এবার ঈদের আগে গ্রামের বাড়ি এসে দরিদ্র মানুষের মাঝে শাড়ি-কাপড় বিতরণ করেন। সারা বছর এলাকার দরিদ্র মানুষকে উনি দান-সদকা করে থাকেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা রোজিনার সঙ্গে সারা জীবন কাটিয়েছি। যখন উনি গ্রামে ফিরে আসেন তখন গ্রামের সাধারণ মানুষ আনন্দ প্রকাশ করেন। এলাকার মানুষের কথা চিন্তা করে বাড়ির আঙিনায় একটি চমৎকার মসজিদ নির্মাণ করেছেন। মসজিদটি নির্মাণের পর থেকে এখানে প্রচুর মুসল্লি হয়।’

রোজিনা বলেন, ‘আমার গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ী শহরের ভবানীপুর। গোয়ালন্দ হচ্ছে নানাবাড়ি। এখানেই আমার জন্ম। মায়ের বড় সন্তান হিসেবে অধিকাংশ সময় কেটেছে গোয়ালন্দে। তা ছাড়া মায়ের নামে  ২০২০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু করি। প্রাথমিকভাবে তুরস্কের মডেল দেখে দুটি মিনারসহ ১০টি গম্বুজ দিয়ে প্রায় পৌনে দুই কোটি টাকা ব্যয়ে পুরনো আদলে সেটি নির্মাণ করি। মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের দেখে আমার মনটা ভরে যায়। আমিসহ আমার পরিবারের সকলের জন্য সবার কাছে দোয়া কামনা করছি।’

Source link

Related posts

বাইরে দাঁড়িয়ে যাত্রীরা, ছাউনিতে চলছে চা-পান ও ফলের ব্যবসা

News Desk

শ্রীপুরে লিচুর ফুল থেকে ৩৫০ মেট্রিক টন মধু সংগ্রহের আশা

News Desk

২৪ ঘণ্টায় স্বাভাবিক হলো কুড়িগ্রামের ট্রেন চলাচল

News Desk

Leave a Comment