সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন জানিয়েছেন, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত দুই রোগীকে রাজধানীর বারডেম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা শুরু হয়েছে। তারাই দেশে ছাত্রাকজনিত রোগটিতে আক্রান্ত প্রথম রোগী।
সংক্রমিত হলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আক্রান্ত ওই দুই ব্যক্তিকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানায়নি বলেও জানান অধ্যাপক তাহমিনা।
বারডেম হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ৮ মে ৪৫ বছর বয়সী এক রোগীর শরীরে মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর গত রোববার ৬০ বছর বয়সী আরেকজনের শরীরেও ছাত্রাকজনিত রোগটি শনাক্ত হয়। তারা দুজনই করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছিলেন। সুস্থ হওয়ার পরে তারা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সংক্রমিত হন।
ভারতে মিউকরমাইকোসিস বা ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ছে। দেশটিতে এ পর্যন্ত ৮ হাজার ৮০০ জন এই ফাঙ্গাসে সংক্রমিত হয়েছে। ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা কালো ছত্রাকে সংক্রমিত প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষ মারা যাচ্ছে। আর যারা বেঁচে যাচ্ছে, তাদের মধ্যে একটি অংশের চোখ অপসারণ করতে হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়, যারা করোনায় সংক্রমিত হন, তাদের সুস্থ করতে স্টেরয়েড চিকিৎসার সঙ্গে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণের যোগসূত্র রয়েছে। যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, তাদের এই ফাঙ্গাসে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। কোভিড-১৯ থেকে সেরে ওঠার ১২ থেকে ১৮ দিনের মধ্যে এর সংক্রমণ দেখা দেয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।