Image default
বাংলাদেশ

নিরাপদে সরানো হচ্ছে বড় জাহাজ, ইয়াস মোকাবেলায় প্রস্তুত বন্দর

চট্টগ্রাম বন্দরের আউটার থেকে মাদার ভ্যাসেলকে সরিয়ে গভীর সমুদ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এছাড়া কর্ণফূলী নদীতে বিক্ষিপ্তভাবে থাকা লাইটার জাহাজকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। বন্দরের জেটিতে কনটেইনার হ্যান্ডলিং শিথিল করা হয়েছে। ঘুর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোবাবিলায় সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এর প্রভাবে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে প্রস্তুত চট্টগ্রাম বন্দর। ইতোমধ্যে কযেক দফায় সভা করে ব্যাপক প্রস্তুতিমুলক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন সেডে দায়িত্বরত কর্মীদের দায়িত্বও বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বন্দরের ডেপুটি কনজারবেটর ক্যাপ্টন ফরিদ উদ্দিন বলেন, ঘুর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় বন্দর কর্তৃপক্ষ ৫টি কমিটি গঠন করেছেন। এরমধ্যে দুটি কমিটি (সমুদ্রে) জাহাজ নিয়ন্ত্রণের কাজ করছে, তিনটি কমিটি (স্থলে) বন্দরের ইয়াস মোকাবিলার কাজ করছে। এছাড়া খোলা হয়েছে একটি কন্ট্রোল রুম (০৩১-৭২৬৯১৬)। যে কোন সময় ঘুর্ণিঝড় ‘ইয়াস ’আঘাত হানা শুরু করলে বা সংকেত বৃদ্ধি পেতে থাকলে দ্রুতই বন্দরের জেটিও খালি করা হবে। আপাতত সীমিত আকারে চলছে জেটিতে কাজ।

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন, সংকেত বাড়লে জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানো-নামানো বন্ধ করে দেওয়া হবে। আমাদের করণীয় প্রস্তুতি যা যা দরকার আমরা সবই করে রেখেছি। বরং যে প্রস্তুতি ঘুর্ণিঝড়ের সংকেত বাড়লে নিতে হতো সেটি আমরা আগেই নিয়ে রেখেছি। সুতরাং ইয়াস আঘাত হানলেও সেটি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুতি রয়েছি।

তিনি বলেন, এখন পণ্য খালাসও শিথিল করে দেওয়া হয়েছে। বন্দরের সব কার্যক্রম চলছে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক প্রস্তুতি নিয়েই। আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর বিপদসংকেত দেখাতে বলা হচ্ছে। জানা গেছে, বন্দরের আউটার থেকে বড় জাহাজকে মহেশখালী-কক্সবাজার গভীর সমুদ্রের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এছাড়া কর্ণফুলী থেকে লাইটার জাহাজকে সরিয়ে কালুঘাট-কর্ণফুলী পুরাতন ব্রিজ এলাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ১৯৯২ সালে বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রণীত ঘূর্ণিঝড়-দুর্যোগ প্রস্তুতি এবং ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী পুনর্বাসন পরিকল্পনা অনুযায়ী, আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংকেতের ভিত্তিতে চার ধরনের সতর্কতা জারি করে বন্দর। আবহাওয়া অধিদপ্তর ৩ নম্বর সংকেত জারি করলে বন্দর প্রথম পর্যায়ের সতর্কতা বা ‘অ্যালার্ট-১’ জারি করে। ৪ নম্বর সংকেতের জন্য বন্দর অ্যালার্ট-২ জারি করে। এ ছাড়া বিপদসংকেত ৫, ৬ ও ৭ নম্বরের জন্য ‘অ্যালার্ট-৩’ জারি করা হয়। মহাবিপদসংকেত ৮, ৯ ও ১০ হলে বন্দরেও সর্বোচ্চ সতর্কতা বা ‘অ্যালার্ট-৪’ জারি করা হয়। তখন বন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। জেটি, যন্ত্রপাতি ও পণ্যের সুরক্ষার জন্য ১৯৯২ সাল থেকে এই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

Related posts

দোকানের সামনে কাভার্ড ভ্যানের চাপায় দোকানির মৃত্যু, দৌড়ে বাঁচলেন কর্মচারী

News Desk

কুষ্টিয়ায় একদিনে আরও ১৭ জনের মৃত্যু

News Desk

মৌলভীবাজারে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে প্রাণ ফিরেছে চা শিল্পে

News Desk

Leave a Comment