জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীনির্ভর ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ বায়োপিকটি দেখেছেন যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ। যশোরের মণিহার প্রেক্ষাগৃহে মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত প্রদর্শন হয়। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন সুধীজনসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।
ছবিটি দেখা শেষ হল থেকে বেরিয়ে মিডিয়াকর্মীদের কাছে নিজের অনুভূতি তুলে ধরেন কাজী নাবিল আহমেদ। তিনি বলেন ‘পাকিস্তানের শুরু থেকে বাংলাদেশের অভ্যুদয়-প্রত্যেকটি সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর অবদান রয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সংগ্রাম মুখর জীবন ও বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ সবই তার নেতৃত্বে হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের জনগণের অধিকার আদায়ে নিজের আরাম আয়েশ ত্যাগ করেছেন- তা ফুটেছে উঠেছে এই সিনেমাতে। এই সিনেমায় তার সংগ্রামী জীবনের প্রতিচ্ছবি আমরা দেখতে পেয়েছি। তার জীবন,তার নাম-সবই বাংলাদেশের স্বাধীনতার সঙ্গে জড়িত।
সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আরও বলেন, ‘এই ছবির মাধ্যমে আমরা দেখতে পেয়েছি- বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যরা কতটা সাহসী ভূমিকা রেখেছেন। তারা কীভাবে অনুপ্রেরণা দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন,তা স্পষ্ট। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মাটি,বাংলাদেশের মানুষ ও দেশের মানুষের অধিকার আদায়ে সারা জীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা,তৎকালীন সাড়ে সাত কোটি মানুষের মুক্তি এসেছে।’
পৃথিবীর বুকে ঠাঁই পেয়েছে বা্ংলাদেশের একটি পতাকা। এই প্রজন্ম এবং আগামী প্রজন্মকে ছবিটি দেখার অনুরোধ জানিয়ে কাজী নাবিল বলেন ‘বঙ্গবন্ধুর সংগ্রাম,মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানা ও ধারণ করতে হবে। সেই ইতিহাস থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়নের যে অগ্রযাত্রা- সেটি এগিয়ে নেওয়ার জন্য নতুন প্রজন্ম, যারা দেশকে নেতৃত্ব দেবে- তাদের কাজে লাগবে। ওই প্রজন্মই বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়বে এবং এই সিনেমাটি তাদের জন্য অনুপ্রেরণার।’
সিনেমা শেষে বেরিয়ে তিনি জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, শ্রমিক লীগসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সঙ্গে ছবি তোলেন। মণিহার প্রেক্ষাগৃহে এই মুভি দেখার সময় তার সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের নেতা মেহেদি হাসান মিন্টু, ফারুক আহমেদ কচি, যুবলীগের সভাপতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী, অ্যাড. আবু সেলিম রানা, সুখেন মজুমদার, এসএম আফজাল হোসেন, ছাত্ররীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লাইজু জামান, শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জবেদ আলী, যুব মহিলা লীগের সভাপতি মঞ্জুন্নাহার নাজনীন সোনালী, যশোর পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোকছিমুল বারী অপু, কাউন্সিলর জাহিদ হোসেন মিলন, রাজিবুল আলম, রিপন হোসেন প্রমুখ।
এ ছাড়াও যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, যশোর সরকারি এমএম কলেজের অধ্যক্ষ, সরকারি সিটি কলেজের অধ্যক্ষ, যশোর জেলা সিভিল সার্জন, যশোর মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপ্যালসহ আইনজীবী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সামাজিক সংগঠনের প্রায় ১৪শ’ দর্শক সিনেমাটি উপভোগ করেন।