পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলীর বদলির দাবিতে তিস্তা তীর থেকে মহাসড়কে
বাংলাদেশ

পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলীর বদলির দাবিতে তিস্তা তীর থেকে মহাসড়কে

তিস্তার ভাঙন ঠেকাতে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসানকে বদলির দাবি জানিয়েছেন তিস্তা পাড়ের বাসিন্দারা। সোমবার (১৪ অক্টোবর) জেলার রাজারহাট উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা কুড়িগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কের পাশে মানবন্ধনে দাঁড়িয়ে এই দাবি জানান। দাবি আদায়ে প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন তিস্তা পাড়ের সহস্রাধিক মানুষ।

জেলার রাজারহাট উপজেলার তিস্তার ভাঙনকবলিত বাসিন্দারা কুড়িগ্রাম শহরে এই মানববন্ধনে অংশ নেন। নিজেদের বাস্তুভিটা রক্ষায় পাউবো কর্মকর্তাদের অবহেলাকে দায়ী করে নির্বাহী প্রকৌশলীর বদলি দাবি করেন। তার জায়গায় মানবিক অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানা তারা।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন– ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য শহিদুল ইসলাম, মিন্টু মিয়া, আজিজার রহমান, আশরাফুল হক, আবুল হোসেন, রাকিবুল ইসলাম প্রমুখ।

পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলীর অপসারণ চেয়ে শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘তিস্তার করাল গ্রাসে আমরা গ্রামবাসী নিঃস্ব। আমরা তিস্তা পাড়ের মানুষ বৈষম্যের শিকার। নদীভাঙনের সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে বারবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি বিরক্তবোধ করে ফোন বন্ধ করে রাখেন। কিছু বস্তা ভরাট থাকলেও তীব্র ভাঙনে তার কাছ থেকে সেগুলো ফেলার অনুমতি মেলে না। ফলে  ভাঙন এলাকায় বস্তা ফেলার আগেই জমি-জিরাত, ঘর-বাড়ি নদীগর্ভে চলে যায়। তিনি বাস্তবে তিস্তা নদীর ভাঙন রোধে কোনও ব্যবস্থা নেননি। এমনকি ভাঙনের সময় তিনি পরিদর্শনেও আসেননি।’

আজিজার রহমান ও রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘ভাঙনে আমরা একের পর এক বাসিন্দা নিঃস্ব হচ্ছি। কিন্তু পাউবো কোনও ভ্রুক্ষেপ করছে না। আমরা মানবিক বিপর্যয়ে থাকলেও তাদের টনক নড়ে না। আমরা অবহেলা আর বৈষম্যের শিকার। নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল ইসলাম ভাঙন ঠেকাতে দায়িত্বে অবহেলা করছেন। অবিলম্বে তাকে বদলি করে একজন দক্ষ, জনবান্ধব ও মানবিক নির্বাহী প্রকৌশলীকে দায়িত্ব দেওয়াসহ তিস্তার ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা দাবি জানাই।’

মানববন্ধন শেষে তিস্তা পাড়ের মানুষজন একটি র‌্যালি নিয়ে শহর প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে।

স্থানীয়দের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, ‘আসলে আমার কোনও অবহেলা নেই। গত বছর এই ডিভিশনে (কুড়িগ্রাম) জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ কাজে বরাদ্দ ছিল ৫৫ কোটি টাকা। এ বছর সেটা মাত্র ১৩ কোটি। বরাদ্দ এবং জরুরি প্রতিরোধ কাজের অনুমোদন সীমাবদ্ধতার কারণে জেলার বিরাট একটি অংশ অরক্ষিত থেকে গেছে। আমরা শুধু সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রক্ষায় কাজ করতে পেরেছি। ফলে স্থানীয়দের মধ্যে ধারণাটা অন্য রকম রয়েছে।’

Source link

Related posts

সাততলা বস্তির অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত কেউ অভুক্ত থাকবে না : মেয়র আতিক

News Desk

একদিনের বৃষ্টিতে নোয়াখালী পৌর এলাকায় জলাবদ্ধতা, ভোগান্তিতে লাখো মানুষ

News Desk

মাতামুহুরী নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের কাজে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

News Desk

Leave a Comment