কুমিল্লায় বন্যা পরিস্থিতি দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে নৌকা ছাড়া উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম একেবারেই ভেঙে পড়েছে। যে কারণে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থেকে আনা হয়েছে ১৫টি নৌকা। স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এ কে এম জিলানী এসব নৌকা নিয়ে কুমিল্লায় এসেছেন। রবিবার (২৫ আগস্ট) বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের ভরাসার বাজার এলাকায় তাদের দেখা গেছে।
স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এ কে এম জিলানী বলেন, আমরা কালকে এসেছি। খাবার নিয়ে এলেও রিমোট এরিয়ায় দিতে পারিনি। তাই সঙ্গে সঙ্গে আমার এলাকা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া খবর দিয়ে ১৬টি নৌকার ব্যবস্থা করি। ১৫টি নিয়ে এসেছি কুমিল্লায়। একটি লক্ষ্মীপুর পাঠিয়েছি। চৌদ্দগ্রাম, লাকসাম, মনোহরগঞ্জ, নাঙ্গলকোট, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রামসহ সারা দেশে আমাদের টিম কাজ করছে। ১৬ কোটি মানুষের এমন সহযোগিতা আগে কখনও দেখিনি। সবাই একযোগে সহযোগিতা করছে।
তিনি বলেন, কুমিল্লার অবস্থা নাজুক। এখানে নৌকা বা পানির বাহন ছাড়া কাজ করা অসম্ভব। তাই আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের পর্যাপ্ত পানি, খাবার, শুকনো খাবার, শিশুখাদ্য ও গো-খাদ্য আছে। শুধু সঠিক মনিটরিং করে সেগুলো বন্যার্তদের মাঝে পাঠানো দরকার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব জসিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি পারভেজ আলম, দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আমিরুল পাশা সিদ্দিকী রাকিব, বুড়িচং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবদুল আলীম, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম ভূঁইয়াসহ কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ও বুড়িচং উপজেলার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।