দারিদ্রকে জয় করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে মেধাবী ছাত্র আবুল বাশার। সে ডোমার উপজেলার বামুনিয়া ইউনিয়নের মাহাবুল ইসলামের ছেলে। অন্যের জমি চাষাবাদ করে চলে বাশারদের সংসার। পরিবারের আর্থিক অসচ্ছলতা সত্যেও নিজের মেধাকে পুঁজি করে সে রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেলেও অর্থাভাবের কারণে বাশারের মেডিকেল ভর্তিতে দেখা দেয় অনিশ্চিয়তা।
এ বিষয়ে বাশারের বাবা ডোমার উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিনা শবনমের কাছে সাহায্যের আবেদন জানালে তিনি বাশারকে ভর্তিতে সহযোগীতার আশ্বাস দেন। এর পরে বাশারের বাবা মাহাবুল ইসলাম জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরীর কাছেও সাহায্যের আবেদন জানান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদনের প্রেক্ষিতে অদম্য এই মেধাবীর পাশে দাঁড়িয়েছেন নীলফামারী জেলা প্রশাসন । গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে মেধাবী ছাত্র বাশারকে মেডিকেলে ভর্তির জন্য ২০ হাজার টাকা তার হাতে তুলে দেন জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চেীধুরী। এ সময় ডোমার উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিনা শরনম উপস্থিত ছিলেন।
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস কোর্সের প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় মেধাক্রমে ১৫১১ তম হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন আবুল বাশার। রংপুর মেডিকেল কলেজ কেন্দ্র থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ১০০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছেন ৮৫ নম্বর। মেধার জোরে সব বাধা জয় করে মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পেলেও অর্থিক দুশ্চিন্তা ধরেছিল গোটা পরিবারকে।
জেলা প্রশাসন থেকে ছেলের মেডিকেলে ভর্তির টাকা পেয়ে জেলা প্রশাসক হাফিজুল রহমান ও ডোমার উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিনা শবনমের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বাবা মাহাবুল ইসলাম।