বাসের ধাক্কায় চুয়েটের ২ শিক্ষার্থী নিহত, সহপাঠীদের আলটিমেটাম
বাংলাদেশ

বাসের ধাক্কায় চুয়েটের ২ শিক্ষার্থী নিহত, সহপাঠীদের আলটিমেটাম

চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে বাসের ধাক্কায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বিক্ষোভ করেছেন চুয়েটের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী। তারা কাপ্তাই সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন। সড়কে শাহ আমানত পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়া ও বেশ কিছু যানবাহন ভাঙচুর করেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এতে এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক চড়িয়ে পড়েছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চুয়েটের সামনে কাপ্তাই সড়কে টেবিল-চেয়ারসহ নানা আসবাবপত্র ফেলে রেখে এ ব্যারিকেড দেন শিক্ষার্থীরা। এতে প্রায় আড়াই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে সড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়।

এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা নিহত দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর জন্য বাসচালক ও হেলপারকে দায়ী করে তাদের বিচার দাবি করেন।

নজরুল ইসলাম নামে চুয়েটের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বেপরোয়া শাহ আমানত পরিবহনের একটি বাস চুয়েটের দুই ছাত্রকে পিষে মেরেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবিতে আমরা এ আন্দোলনে নেমেছি। আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’

চুয়েট ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সেমাবার বিকালে শাহ আমানত পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় তিন ছাত্র আহত হন। এর মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। একজন বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা কিছুটা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। কাপ্তাই সড়কে তারা ব্যারিকেড দেয়। পরে তাদের বুঝিয়ে আমরা ভেতরে নিয়ে আসি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।’

রাঙ্গুনিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান সুমন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘চুয়েটের সামনে শাহ আমানত পরিবহনের একটি বাসে কে বা কারা আগুন দেয়। খবর পেয়ে রাত রাত রাত ৯টা ১৫ মিনিটে আগুন নির্বাপণ করা হয়। আগুনে বাসটির প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।’

চুয়েট পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জাবেদ মিয়া বলেন, ‘কাপ্তাই সড়কে দুর্ঘটনায় চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী মারা গেছেন। এর জের ধরে শিক্ষার্থীরা কিছুটা উত্তেজিত হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।’

রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। তবে বাসচালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এর আগে সোমবার বিকাল ৪টায় রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চট্টগ্রাম কাপ্তাই সড়কের সেলিনা কাদের চৌধুরী কলেজ-সংলগ্ন এলাকায় বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী নিহত হন, একজন আহত হন।

নিহত দুজন হলেন চুয়েট পুরকৌশল বিভাগের ২০২০ ব্যাচের ছাত্র শান্ত সাহা ও একই বিভাগের ২০২১ ব্যাচের তৌফিক হোসেন। এর মধ্যে শান্ত সাহা নরসিংদী সদরের কাজল সাহার ছেলে। তৌফিক হোসেন নোয়াখালী জেলার সুধারাম উপজেলার মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।

এ ঘটনায় আহত জাকারিয়া হিমু পুরকৌশল বিভাগের ২০২১ ব্যাচের ছাত্র। বর্তমানে চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতাল এভারকেয়ারে চিকিৎসাধীন আছেন।

Source link

Related posts

সেই ‘বইহীন’ পাঠাগারে রাখা হলো গাইড বই

News Desk

চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড

News Desk

নোয়াখালীতে ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৭৩

News Desk

Leave a Comment