কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার সীমান্ত সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্রের চরাঞ্চল থেকে ‘চোরাই’ সন্দেহে ৪৫টি ভারতীয় মহিষ আটক করেছে বিজিবি। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার সাহেবের আলগা ইউনিয়নের জাহাজের আলগা, মেকুরচর ও পার্শ্ববর্তী বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মশালের চর এলাকা থেকে এসব মহিষ আটক করেন বিজিবি ২২ ব্যাটালিয়নের দইখাওয়ার চর বর্ডার আউট পোস্টের (বিওপি) সদস্যরা। কুড়িগ্রাম বিজিবি ২২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল মোত্তাকিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজিবি জানায়, ভারত থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে বেশ কিছু মহিষ বাংলাদেশে প্রবেশ করানো হয়েছে, এমন তথ্যে উলিপুর উপজেলার দইখাওয়ার চর বিওপির অধীন সীমান্ত এলাকার মেইন পিলার ১০৪৭ থেকে ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ব্রহ্মপুত্রের চরাঞ্চলে অভিযান চালায় বিজিবি। ব্যাটালিয়ন অধিনায়কের নির্দেশে উপ-অধিনায়ক মেজর মো. মাহবুবুর রহমান এবং ভারপ্রাপ্ত অ্যাডজুটেন্ট সহকারী পরিচালক মো. ইউনুছ আলীর পরিকল্পনায় উলিপুরের জাহাজের আলগা ও মেকুরের চর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪৫টি ভারতীয় মহিষ আটক করে বিজিবি। মহিষগুলোর বাজার মূল্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা। সেগুলো কাস্টমের কাছে হস্তান্তরের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এদিকে, মহিষ আটকের ঘটনায় স্থানীয়দের পক্ষ থেকে এসব মহিষের মালিকানা দাবি করা হয়। এ নিয়ে কয়েকটি পরিবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগও করে। তবে আটক ৪৫টি মহিষের মালিকানার বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তা জব্দ করে বিজিবি।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল মোত্তাকিম বলেন, ‘চোরাচালানের মাধ্যমে ভারত থেকে এসব মহিষ এনে চরাঞ্চলে জড়ো করা হয়েছিল। এমন এলাকায় এগুলো জড়ো করা হয়েছিল যা জামালপুর ও কুড়িগ্রাম বিজিবির নিয়ন্ত্রিত এলাকার মাঝামাঝি। বেশ কেয়কদিন ধরে সেখানে মহিষগুলো রেখে বিক্রির পরিকল্পনা করছিল চোরাকারবারিরা। বিভিন্ন সূত্রে নিশ্চিত হয়ে অভিযান পরিচালনা করে এসব মহিষ আটক করা হয়েছে।’
স্থানীয় বাসিন্দাদের মালিকানা দাবির প্রশ্নে বিজিবি অধিনায়ক বলেন, ‘দেখলেই বোঝা যায় যে এগুলো ভারতীয় মহিষ। তারপরও যারা মালিকানার বৈধ কাগজ দেখিয়েছেন যাচাই করে তাদের মহিষ ফেরত দেওয়া হয়েছে। বাকি ৪৫টি মহিষের বৈধ কোনও মালিকানা বা হাট থেকে কেনার রশিদ নেই। যাচাই-বাছাই করে এসব মহিষ আটক করা হয়েছে। তারপরও কেউ বৈধ কাগজ দেখাতে পারলে যাচাই সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’