চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে তৃতীয় দিনে আরও ১৩৩ জন ভারত থেকে দেশে ফিরেছেন। এদের মধ্যে দুইজনের করোনা পজিটিভ বলে জানা গেছে। বুধবার (১৯ মে) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দর্শনা চেকপোস্টে পৌঁছালে চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়।
বন্দরে পৌঁছানোর পর তাদের করোনা পরীক্ষা এবং নানা আনুষ্ঠানিকতা চলে। এদের মধ্যে দুইজনের করোনা শনাক্ত হয়। তাদেরকে সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে গত তিনদিনে মোট ২১৬ জন ভারত থেকে দেশে ফিরলেন।
দর্শনা চেকপোস্টে প্রবেশের পর স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে প্রত্যেকের অ্যান্টিজেন পরীক্ষা এবং পর্যায়ক্রমে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), পুলিশের অভিবাসন শাখা (ইমিগ্রেশন) ও শুল্ক বিভাগের (কাস্টমস) আনুষ্ঠানিকতা শেষ করা হয়। এরপর ১৩১ জনকে বিশেষ নিরাপত্তায় মাইক্রোবাসে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের মধ্যে চুয়াডাঙ্গার ভিরুল্লাহ এলাকায় অবস্থিত কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (টিটিসি) প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ৫০ জন, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আটজন, যুব উন্নয়ন অধিদফতরের ভবনে ৫০ জন ও ২৩ জনকে শহরের হোটেল ভিআইপিতে নেওয়া হয়। এই ১৩১ জনকে পরবর্তী ১৪ দিন বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে।
দর্শনা ইমিগ্রেশনের ইনচার্জ এসআই আব্দুল আলীম জানান, বুধবার (১৯ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ভারত থেকে দেশে প্রবেশ করেছেন ১৩৩ জন। এর মধ্যে ১৩১ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ আসলেও দুজনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। করোনা শনাক্ত হওয়া দুজনকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে আগত ব্যক্তিদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতকরণে গঠিত উপকমিটির সদস্য ডা. আওলিয়ার রহমান (এমওডিসি) বলেন, বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভারতে আটকে পড়া ১৩৩ জন নারী-পুরুষ দেশে ফিরেছেন। এর মধ্যে দুইজনের করোনা শনাক্ত হলে তাদেরকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও বাকি ১৩১ জনকে চুয়াডাঙ্গা টিটিসি, সদর হাসপাতাল, যুব উন্নয়ন অধিদফতরের ভবনসহ হোটেলে বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।