সবুজ পাহাড়ের পাদদেশে শরণার্থী শিবিরের নীল আকাশ ছিল বাজপাখি, চিল, প্রজাপতি, হুতুম পেঁচা ও বাঘসহ বিভিন্ন প্রাণীর দখলে। সেই দৃশ্য শিশু-কিশোরসহ প্রাণভরে উপভোগ করেছেন ক্যাম্পের বাসিন্দারা। তবে আকাশে ওড়া বাঘসহ অন্য পশু ও পাখি কিন্ত সত্যিকারের প্রাণী নয়, প্রাণীর আদলে তৈরি ঘুড়ি৷
রবিবার (১০ জুলাই) উখিয়া ঘোনারপাড়া ক্যাম্পে ঈদুল আজহার খুশি রোহিঙ্গাদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে ঘুড়ি উৎসব আয়োজন করেন ৮ এপিবিএন পুলিশ। ‘কাইটস রাইজ হাইয়েস্ট এগেইনসড দ্য উইন্ড’, অর্থাৎ ‘বাতাসের বিরুদ্ধে উচ্চতায় ঘুড়ি’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে এ উৎসবটি উদ্বোধন করেন ৮ এপিবিএন অধিনায়ক মোহাম্মদ সিহাব কায়সার খান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম, এএসপি খন্দকার আশফাকুজ্জামান ও মো. কামরান হোসেন প্রমুখ।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রজাপতি ঘুড়ি ওড়াচ্ছিলেন রোহিঙ্গা শিশু নুর কামাল ৷ একটু পরে তার ঘুড়ির সঙ্গে একটি বাজপাখি ঘুড়ির রশি-কাটাকাটি শুরু হয়৷ একপর্যায়ে ‘প্রজাপতির’ কাছে পরাজয় হয় ‘বাজপাখির’৷ ক্যাম্পের মাঠে এই দৃশ্য উপভোগ করেন রোহিঙ্গারা৷
রোহিঙ্গা নেতা মো. আমিন বলেন, ঈদ উপলক্ষে ক্যাম্পে ঘুড়ি উৎসব এপিবিএনের একটি ভালো উদ্যোগ। এর ফলে রোহিঙ্গা শিশুদের ঈদের খুশি দ্বিগুণ হয়েছে।
এ বিষয়ে ৮ এপিবিএন অধিনায়ক মোহাম্মদ সিহাব কায়সার খান বলেন, ঈদুল আজহার আনন্দ ভাগাভাগি করতে ও রোহিঙ্গাদের মধ্যে খুশি ছড়িয়ে দিতে এই আয়োজন করা হয়। ঘুড়ি উৎসবে শতাধিক রোহিঙ্গা শিশু অংশ নেয় বলে জানান তিনি।