বাগেরহাটের মোংলা উপজেলায় একটি মৎস্য ঘের থেকে গ্যাস উঠছে। এই গ্যাস দিয়ে রান্না করছেন উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নের মধ্যপাড়া এলাকার দেলোয়ার হোসেনের (৩০) পরিবারের লোকজন। তবে দুর্ঘটনা এড়াতে আপাতত রান্না বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৪ জুলাই) বিকালে ঘের পরিদর্শন করে করে এই নির্দেশ দেন বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) খন্দকার রেজাউল করিম ও জেলা এলজিআরডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শরিফুজ্জামান।
আরও পড়ুন: ঘের থেকে উঠছে গ্যাস, চলছে রান্না
এ সময় রেজাউল করিম বলেন, ‘আপাতত ভয়ের কিছু নেই, তবে গ্যাস উদগিরণ বেড়ে গেলে অবশ্যই ঝুঁকি রয়েছে। তাই উদগিরণস্থল থেকে লাইন টেনে যে রান্নাবান্না করা হচ্ছে, সেটা বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। কারণ এ থেকে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পর্যবেক্ষণে সেখানে গ্যাসের অস্তিত্ব আছে বলে মনে হয়েছে। কারণ বের হওয়া দাহ্য পদার্থে আগুন জ্বলছে। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।’
এলজিআরডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী শরিফুজ্জামান বলেন, ‘ঘটনাস্থলে গ্যাসের অস্তিত্ব রয়েছে। এখন বিশেষজ্ঞরা মাইনিং করে দেখবেন কত নিচে এবং কী পরিমাণ গ্যাস রয়েছে। এই গ্যাস লাভজনক হলে উত্তোলনের উদ্যোগ নেবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। এছাড়া গ্যাসের উদগিরণ ফোর্স বাড়লে তাতে ঝুঁকিও থাকছে।’
উল্লেখ্য, প্রায় ৬ বছর ধরে দেলোয়ার শেখের পৌনে তিন বিঘার চিংড়ি ঘের থেকে গ্যাস উদগিরণ হয়ে আসছে। ৬ বছর আগে ঘের মালিক ওই জমি থেকে বালু-মাটি উত্তোলনের জন্য ৬০ ফুট গভীরতার পাইপ বসালেই সেখান থেকে গ্যাস উঠতে থাকে। তখন তা কম হলেও গত সপ্তাহ থেকে উদগিরণ বেড়ে গেছে। আগে দুই-এক জায়গা থেকে বের হলেও এখন তা সাত-আট জায়গা থেকে বের হচ্ছে। বেশি পরিমাণ বের হওয়ায় গত সোমবার সেখান থেকে লাইন টেনে বৃহস্পতিবার থেকে চুলায় রান্না করছেন দেলোয়ারের পরিবারের লোকজন।