পটুয়াখালীর উপকূলের হাট বাজারগুলোতে শীতকালীন সবজিতে সয়লাব হয়ে গেছে। তবুও সবজি কিনতে পারছেন না সাধারণ ক্রেতারা। ৭০ টাকা ৮০ টাকার নিচে নামছে না কোনোটির দাম। ফলে চরম বেকায়দায় পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।
সবজির বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, শীতকালীন নানান সবজিতে বাজার সয়লাব। সাজিয়ে রাখা হয়েছে টাটকা সবজি। ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাউ, সিম, বেগুনসহ নানা সবজি দেখা গেছে খুচরা ও পাইকারি বাজারে। তবে তুলনামূলক ক্রেতাদের উপস্থিতি কম। কিছুদিন ধরে শীত পড়া শুরু হয়েছে। শীতকালীন সবজিও সব বাজারে উঠে গেছে। কিন্তু দামই কমতির দিকে নেই।
চাকরিজীবী এক ক্রেতা বলেন, ৩০০ টাকার সবজি একদিনেই শেষ হয়ে যায়। আমরা সাধারণ মানুষ কী খেয়ে বাঁচবো? চাল, পেঁয়াজ, আলুর দামও নাগালের বাইরে। দাম কমানোর ব্যবস্থা না হলে মানুষের কষ্টের শেষ থাকবে না।
আল আমিন নামের আরেক ক্রেতা বলেন, ৫০০ টাকা দিয়ে সবজি আর মাছ কিনেছি। যা দিয়ে এক দিন পার হবে। মাসের ১৫ দিনেই বেতন শেষ হয়ে যায়। বাকি দিন ধারদেনা করে কাটাতে হয়।
খুচরা ব্যবসায়ী আবু তালেব বলেন, আজ বেগুন ৭০, করল্লা ৭০, বাঁধাকপি ৬০, ফুলকপি ৭০, লাউ ৩০, মিষ্টি কুমড়া ৩৫, কাঁচা মরিচ ৮০, সিম ৯০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৫০, কাঁচা কলা ৪০ টাকায় হালি কিনেছি। প্রতি আইটেমে যদি ১০ টাকা বাড়তি ধরি তাইলেই ক্রেতারা রাগ হয়ে যায়। আমাদের বেশি দাম দিয়ে কিনতে হয়। আমরা যদি ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি বিক্রি না করি- সংসার চলবে কী করে?
এ বিষয়ে পাইকারি ব্যবসায়ী মনজুরুল ইসলাম বলেন, শীতকালীন সবজি বাজারে উঠলেও দাম কমেনি। দেশের বিভিন্ন যায়গা থেকে ব্যবসায়ীরা এসে সবজি ক্রয় করে নেয়। চাহিদা বাড়ছে, কিন্তু সে হিসেবে জোগান বাড়েনি। তাই শীতকালীন সবজির দাম চড়া।
সবজি উৎপাদনকারী বাবুল মিয়া বলেন, সবজি এখনও পুরোপুরি আসেনি। আগাম শীতকালীন সবজিতে আমরা দাম ভালো পাই। তবে আগামী সপ্তাহে সব সবজি বাজারে উঠলে দাম কমে যাবে।
কলাপাড়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আরাফাত হোসাইন বলেন, শীতকালীন সব সবজি এখনও বাজারে আসেনি। বাজারে আগাম শীতের সবজির উপস্থিতি বেশি। তাই দাম কমতি নেই। এ সপ্তাহের শেষে হয়তো দাম নাগালের মধ্যে চলে আসবে।