রাজধানীর আরমানিটোলায় রাসায়নিকের গুদামে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ আরও একজন মারা গেছেন। তার নাম শাফায়াত হোসেন (৩৫)।
রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে এই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচজনে দাঁড়িয়েছে।
শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড ইন্সটিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শংকর পাল জানান, আগুনে শাফায়াতের শরীর তেমন দগ্ধ না হলেও তার শ্বাসনালী পুড়ে গিয়েছিল। আইসিইউতে আরও তিন জনসহ এই ঘটনায় দগ্ধ মোট ১৯ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ভোরে আরমানিটোলায় বহুতল একটি আবাসিক ভবনের নিচে রাসায়নিকের গুদাম থেকে লাগা আগুনে প্রাণ হারিয়েছেন কলেজছাত্রীসহ চারজন। আরমানিটোলার আরমানিয়ান স্ট্রিটে অবস্থিত ‘হাজী মুসা ম্যানশন’ নামের আটতলা ওই ভবনের নিচতলায় রাসায়নিকের মার্কেট। সেখানে রয়েছে অন্তত ২০টি দোকান ও গুদাম। ভবনের দ্বিতীয় তলায় রাসায়নিকের গুদাম। ওপরের তলাগুলোর আবাসিক ফ্ল্যাটে লোকজনের বসবাস।
ভবনটির মালিক হাজী মুসার ছেলে মোশতাক আহমেদ চিশতী ধানমন্ডি এলাকায় থাকেন। তবে সেখানে তার রাসায়নিক বিক্রির একটি দোকান ছিল। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা জানান, শুক্রবার ভোর সোয়া ৩টার দিকে ওই ভবনে আগুনের সূত্রপাত। ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট টানা চেষ্টা চালিয়ে সকাল ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এর আগে জানালার গ্রিল কেটে কাপড় বেয়ে, মই বেয়ে কয়েকশ বাসিন্দা ভবন থেকে নিচে নেমে আসেন।