উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলে সারা দেশের মধ্যে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার এবার সবচেয়ে বেশি। এই বোর্ডে পাসের হার ৯৮ দশমিক ১১ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২০ হাজার ৮৭৮ পরীক্ষার্থী। ২০২০ সালের ফলাফলের (পরীক্ষা ছাড়াই) চেয়ে এবার জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ।
গত বছর প্রকাশিত এইচএসসির ফলাফলে জিপিএ-৫ পান ১২ হাজার ৮৯২ পরীক্ষার্থী। যদিও করোনা পরিস্থিতির কারণে পরীক্ষা না হওয়ায় শতভাগ শিক্ষার্থীকে উত্তীর্ণ ঘোষণা করা হয়। এবারের ফলাফলে যশোর বোর্ড শুধু দেশসেরাই না; অতীতের সব পরীক্ষার ফলাফলের রেকর্ড ভেঙে সবচেয়ে ভালো করেছে। আজ রোববার দুপুরে প্রকাশিত ফলাফলে এই চিত্র উঠে এসেছে।
ভালো ফলাফলের বিষয়ে জানতে চাইলে যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আহসান হাবীব বলেন, আগের বছরগুলোতে পরীক্ষার্থীরা ৬টি বিষয়ের ১৩টি পত্রের পরীক্ষা দিয়েছেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে এবার পরীক্ষার্থীরা তিনটি বিষয়ের ছয়টি পত্রে সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচিতে পরীক্ষায় বসেছেন। এ কারণে পরীক্ষার্থীরা সার্বিকভাবে ভালো প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। ভালো ফলাফলের জন্য এবার মূল কৃতিত্ব শিক্ষার্থীদেরই। কারণ, এবার শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে পাঠ গ্রহণের তেমন কোনো সুযোগই পাননি।
যশোর বোর্ডের প্রকাশিত ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ২০২১ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় যশোর বোর্ড থেকে ১ লাখ ২৮ হাজার ১৬৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১ লাখ ২৫ হাজার ৭৪১ জন। উত্তীর্ণদের মধ্যে ছাত্র ৬৪ হাজার ১০৬ ও ছাত্রী ৬১ হাজার ৬৩৫। পাসের হার ৯৮ দশমিক ১১ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২০ হাজার ৮৭৮ পরীক্ষার্থী।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র সাংবাদিকদের বলেন, পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে উত্তর প্রদানের জন্য অনেক অপশন ছিল। একই সঙ্গে অ্যাসাইনমেন্টের জন্যও শিক্ষার্থীর ওপর চাপ ছিল। এসব কারণে শিক্ষার্থীরা যেমন পড়াশোনার মধ্যে ছিলেন, তেমনি অভিভাবকেরাও ছেলেমেয়েদের ওপর বাড়তি নজর রেখেছেন।