কুমিল্লার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের টেন্ডার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় ঠিকাদাররা। পরিচিত ও ঢাকার ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দিতে বিভিন্ন শর্ত জুড়ে দিয়ে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ সীমিত করার অভিযোগ করেছেন তারা। এতে টেন্ডার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, গত ২১ মার্চ রাত ৮টায় স্মল কমিউনিটি বেইজড ওয়াটার সাপ্লাইয়ের জন্য দরপত্র আহ্বান করে প্রকৌশল অধিদফতর। ২১ এপ্রিল সকাল ১১টায় টেন্ডার বক্স ওপেন করার কথা।
অনলাইনে আহ্বান করা দরপত্রের বিষয়ে জানানো হয়, ২০ কোটি করে মোট ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে দুই প্রজেক্টে পাইপলাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করা হবে। দরপত্র আহবানে শর্তজুড়ে দেওয়া হয়- কাজটি পেতে ঠিকাদারদের অন্তত ১৫ কোটি টাকার পানি সরবরাহ সর্ম্পকিত কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অন্তত পাঁচ জন ঠিকাদার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের পানি সরবরাহে দুটি কাজের জন্য অনলাইনে যে দরপত্র আহবান করা হয়েছে সেগুলো বড় ঠিকাদারদের স্বার্থ রক্ষার জন্য করা হয়েছে। এতে কম সংখ্যক ঠিকাদার দরপত্র দাখিলে সক্ষম হবে। কার স্বার্থে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর এই অভিজ্ঞতা জুড়ে দিয়েছে তা আমাদের বোধগম্য নয়। অথচ কাজটি আকারে ছোট করে দরপত্র আহ্বান করা হলে অধিক সংখ্যক ঠিকাদার এতে অংশ নিতে পারতেন। এতে কাজের মান ও স্বচ্ছতা বজায় থাকতো, আর সরকারও বেশি রাজস্ব পেতো।
কুমিল্লায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের অধীনে কাজ করা আরও কয়েকজন ঠিকাদার বলেন, ঢাকা থেকে বড় ঠিকাদাররা অন্যায়-অনিয়মের মাধ্যমে কুমিল্লার অফিস ম্যানেজ করে কাজগুলো হাতিয়ে নিচ্ছে। অথচ কুমিল্লা জেলায় ভালোমানের ঠিকাদার থাকলেও নানান শর্তজুড়ে দিয়ে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ থেকে তাদের দূরে রাখা হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে কুমিল্লা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, এখানে আমার কিছুই করার নেই। হেড অফিস থেকে যে নির্দেশনা আসে সেভাবেই আমাকে কাজ করতে হয়।