বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিনে চট্টগ্রামের সড়কগুলোতে কমেছে যানবাহনের সংখ্যা। সড়কে মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকাল থেকে কমেছে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসসহ অন্যান্য ব্যক্তিগত যানবাহন। হাতেগোনা কিছু গণপরিবহন চলাচল করছে। তবে সড়কে যাত্রীসংখ্যাও কম।
সকালে অবরোধের সমর্থনে মিছিল থেকে নগরীর সিটি গেট এলাকায় একটি প্রাইভেটকার ভাঙচুর করা হয়েছে। নগরীর নতুন ব্রিজ এলাকায় সড়কের ওপর টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছে বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।
নগরীর মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, জিইসি মোড় এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এসব এলাকায় প্রতিদিন যানবাহনের ব্যাপক চাপ থাকতো। প্রায় সময় লেগে থাকতো যানজটও। মঙ্গলবার সকাল থেকে এসব এলাকায় খুবই কমসংখ্যক যানবাহন দেখা গেছে। সড়কে বাসের সংখ্যা খুবই কম। অল্পসংখ্যক সিএনজি, অটোরিকশা এবং টেম্পু গাড়ি চলাচল করতে দেখা গেছে।
এদিকে, অবরোধ শুরুর আগের দিন সোমবার রাত ১০টায় নগরীর জিইসি মোড়ে একটি দাঁড়িয়ে থাকা মিনিবাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার সকাল ৬টায় নগরীর ইপিজেড থানাধীন সলগোলা ক্রসিং এলাকায় আরও একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়। দুই বাসে আগুন দেওয়ার পর নগরজুড়ে জনমনে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে সকাল থেকে নির্দিষ্ট সময়ে সবকটি ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি গন্তব্যে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন স্টেশনে দায়িত্বরত রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ইন্সপেক্টর আমান উল্লাহ। তিনি বলেন, ‘ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক। এখন পর্যন্ত কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।’