রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের দুর্গম চর বেতকা আশ্রয়কেন্দ্রের ১০টি ঘর খালে ধসে পড়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রের পাশে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় সেখানে বিশাল খালের সৃষ্টি হয়েছে। সেখানকার আরও কয়েকটি ঘরসহ আশ্রয়কেন্দ্রের একমাত্র ক্লাব ঘরটি ধসে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে বিশাল পদ্মা নদীর ওপার দুর্গম ওই চর এলাকা পরিদর্শনকালে আশ্রয়কেন্দ্রটি পরিদর্শন করেন গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র। এ সময় তিনি ধসে যাওয়া স্থানে গার্ড ওয়াল নির্মাণসহ ক্ষতিগ্রস্তদের গৃহের ব্যবস্থা করা এবং অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন।
আশ্রয়কেন্দ্রের কয়েকজন ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এলাকায় একটি সরকারি রাস্তা নির্মাণের জন্য আশ্রয়কেন্দ্রের পাশ থেকে ড্রেজিং করে বালু তোলা শুরু করে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি। এর মধ্যে রয়েছে পাবনার ঢালারচর এলাকার ড্রেজিং মালিক মতিন, তার সহযোগী স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য জালাল, খাজা মন্ডল, হাবি শেখ, আক্কাস, কেরামত প্রমুখ।
তিনি জানান, রাস্তার কাজ শেষ হয়ে গেলেও তারা দীর্ঘদিন ধরে আশপাশের বিভিন্ন বসতবাড়িতে বালু সরবরাহ করতে থাকে। এভাবে এখানে গভীর বিশালাকার খালের সৃষ্টি হয়েছে। বালু উত্তোলনের সময় তাদেরকে নিষেধ করলে নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখায় তারা।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, তাদের এখন বিকল্প কোনও থাকার ব্যবস্থা নেই। অথচ এ আশ্রয়কেন্দ্রের অনেক ঘর অনেকে অযথা দখল করে রেখেছে। আশ্রয়কেন্দ্রের ঘরগুলোও জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। নেই পর্যাপ্ত টিউবওয়েল। নষ্ট হয়ে গেছে সবগুলো পায়খানা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র জানান, জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলাপ করে দ্রুতই ক্ষতিগ্রস্তদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা এবং ধসে যাওয়া স্থান মেরামত করাসহ আশ্রয়ণবাসীর জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা করা হবে।