প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলছেন, ‘আজ আমি সত্যি খুব আনন্দিত। কক্সবাজার আজ সংযুক্ত হলো রেলের সঙ্গে। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০২ কিলোমিটার ট্রেন চলাচলের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরে আমি খুব আনন্দিত। একটা কথা দিয়েছিলাম, সেই কথাটা রাখলাম। আমি মনে করি, আজকের দিনটা বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটি গর্বের দিন। কারণ কক্সবাজার এমন একটি সমুদ্র সৈকত যেটা বিশ্বে বিরল। বিশ্বের সব থেকে দীর্ঘ বালুকাময় সমুদ্র সৈকত। ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ, এমন সমুদ্র সৈকত বিশ্বে আর নেই। আমি জানি, এই অঞ্চলের মানুষের এটা দীর্ঘদিনের দাবি ছিল।’
শনিবার (১১ নভেম্বর) কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রেলপথ প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৫ আগস্ট যখন আমার বাবা-মাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় আমার ছোট বোন রেহানা আর আমি বিদেশে ছিলাম। আমাকে তখন দেশে আসতে দেওয়া হয়নি। আমরা রিফিউজি হিসেবে বিদেশের মাটিতে ছিলাম। ১৯৮১ সালে যখন আমার অবর্তমানে আমাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি করে তখন আমি সিদ্ধান্ত নিই, আমাকে ফিরে আসতে হবে। আমার ছোট ছেলে-মেয়ে। ১০ বছরের ছেলে ৮ বছরের মেয়ে, তাদের বাবা, রেহানার কাছে দিয়ে এসেছিলাম জয়কে। সে দায়িত্ব নিয়েছিল। আমি চলে আসি বাংলার মাটিতে।’
তিনি বলেন, ‘কিন্তু আমি জানতাম না, এই দেশে এসে আমি বেঁচে থাকতে পারবো কিনা। আমি এমন একটি দেশে এসেছিলাম, যেখানে আমার বিচার পাওয়ার কোনও অধিকার ছিল না। যুদ্ধাপরাধীরা তখন মন্ত্রী। যারা পাকিস্তানের পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশ গিয়েছিল তারাই আবার পাকিস্তানের পাসপোর্ট নিয়ে দেশে ফিরে এসে মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপন করে। সেই ধরনের একটি পরিবেশের মধ্যে আমি ফিরে আসি।’