আজ মঙ্গলবার ৩০ চৈত্র, বঙ্গাব্দ ১৪২৭-এর শেষ দিন। আগামীকাল বুধবার ১৪২৮-এর প্রথম দিন পয়লা বৈশাখ, বাঙালির সর্বজনীন উৎসবের দিন। বাংলা বছরের শেষ দিন। চৈত্র মাসের এই দিনটিকে বলা হয় চৈত্রসংক্রান্তি।
বাংলার বিশেষ লোকজ উৎসব এই চৈত্রসংক্রান্তি। আবহমান বাংলার চিরায়িত নানা ঐতিহ্যকে ধারণ করে আসে এ দিনটি। বছরের শেষ দিন হিসেবে পুরনোকে বিদায় ও নতুন বর্ষকে বরণ করার জন্য চৈত্রসংক্রান্তিকে ঘিরে থাকে নানা অনুষ্ঠান-উৎসবের আয়োজন। তবে প্রতি বছর নাচ, গান, আনন্দ-উল্লাসসহ নানা আয়োজনে চৈত্রসংক্রান্তি পালনের মধ্য দিয়ে পুরনো বছরকে বিদায় জানালেও বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণে গত বছরের মতো এবারও চৈত্রসংক্রান্তিতে থাকছে না কোনো কার্যক্রম।
শিল্পকলা একাডেমি, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন, চারুকলা অনুষদ ও ছায়ানটেও থাকছে না কোনো আয়োজন। অন্য সব কিছুর মতো, গতবারের ন্যায় এবারও করোনা বাংলা নববর্ষ ও চৈত্রসংক্রান্তিকে আঘাত করেছে। তবে আগামী বছর থেকে রঙ্গিন এবং অনেক বড় পরিসরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে চৈত্রসংক্রান্তি ও বাংলা নববর্ষ উদযাপনের স্বপ্ন দেখছেন সংস্কৃতিকর্মীরা। পুরনো বছরের জরাজীর্ণতার সঙ্গে নিপাত যাক মহামারীর ঘাতক ভাইরাস- নতুন বছরে এমন প্রত্যাশা শিল্পাঙ্গনের এই মানুষদের।
গত বছরের মতো এবারও বর্ষবরণ উৎসবের উপর সরকার বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে লোক সমাগম এড়িয়ে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান আয়োজনের কথা বলা হয়েছে। একাত্তরের পর গত বছর নববর্ষের প্রথম প্রহরে রমনার বটমূলে ছায়ানটের অনুষ্ঠান হয়নি। তারই ধারাবাহিকতায় এবছরও থাকছে না ছায়ানটের নতুন বছরের আয়োজন।
এবারও পহেলা বৈশাখে হচ্ছে না মঙ্গল শোভাযাত্রা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতীকী কর্মসূচি হিসেবে চারুকলা অনুষদের শিল্পীদের তৈরি মঙ্গল শোভাযাত্রার বিভিন্ন মুখোশ ও প্রতীক ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রদর্শন ও সম্প্রচারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।