নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের সাওঘাট এলাকায় বিসমিল্লাহ নামের একটি পাইকারি আড়তের দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, গুলি বর্ষণ, মোটরসাইকেল, গাড়ি ও অফিসে অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের ছয় জন গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সাওঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
জানা গেছে, সাওঘাট এলাকায় বিসমিল্লাহ আড়তের দখল নিয়ে সেলিম প্রধান ও মজিবুরের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। কয়েকদিন আগে উভয়পক্ষের লোকজনকে ডেকে আড়ত থেকে কোনও টাকা তুলতে নিষেধ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মজিবুরের লোকজন সেলিম প্রধানের অফিসের সামনে দিয়ে গেলে সেলিমের লোকজন তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল, ককটেল ও গুলিবর্ষণ করেন। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে স্বপন, রাজু, আলামীন, বাবু, রফিক, সাগর গুলিবিদ্ধসহ উভয়পক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন।
একপক্ষ আরেক পক্ষের ১০টি মোটরসাইকেল, একটি জিপ গাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। একপর্যায়ে একটি অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের ঢাকা মেডিক্যালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এসেছে। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মেহেদী ইসলাম বলেন, ‘রূপগঞ্জে বিসমিল্লাহ আড়ত ভাড়ার চুক্তি নিয়ে বিগত আওয়ামী লীগের আমলে সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর কর্মী মজিবর রহমান ও সেলিম প্রধানের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। সেই দ্বন্দ্বের জের ধরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধের খবর শুনেছি। যারা জড়িত তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’