আনন্দ-আয়োজনে রাঙামাটি-খাগড়াছড়িতে পালন হচ্ছে বড়দিন
বাংলাদেশ

আনন্দ-আয়োজনে রাঙামাটি-খাগড়াছড়িতে পালন হচ্ছে বড়দিন

আজ বড়দিন। যীশু খ্রিস্টের জন্মদিন। সারা দেশের মত পার্বত্য জনপদ রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতেও সাড়ম্বরে উদযাপিত হচ্ছে দিনটি।

দিনটি উদযাপনে বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে রাঙামাটি শহরের আসামবস্তী নির্মলা মারিয়া গির্জার উদ্যোগে সমবেত প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। প্রার্থনায় অংশ নেন পাহাড়ের খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীসহ রাঙামাটির বাইরে থেকে আসা অনেক পর্যটকরাও।

সমবেত প্রার্থনায় দেশ, জাতি ও সবার মঙ্গল কামনা করা হয়। প্রার্থনা শেষে খ্রিস্টের জন্মদিনের কেক কাটা হয়।

রাঙামাটির কেন্দ্রীয় গির্জা সেন্ট জোসেফ চার্চের প্রধান পুরোহিত ফাদার মাইকেল রায় বলেন, আজকের দিনটি আমাদের শিক্ষা দেয় আমরা যাতে চিন্তা চেতনায়, হ্রদয়ে, মন-মানসিকতায় বড় হয়ে উঠতে পারি। আজকের দিনে আমরা দেশ জাতি ও সবার মঙ্গলের জন্য প্রার্থনা করি। সবাই মন মানসিকতা ও হ্রদয়ে বড় হোক এটাই আহ্বান জানাই।

বড়দিন উদযাপনে পাহাড়ের খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা একে অপরের বাড়িতে গিয়ে নিজেদের মধ্যে বড়দিনের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন।

এদিকে, খাগড়াছড়িতে প্রায় দেড় শতাধিক গির্জা ও চার্চে শুরু শুরু হয়েছে বড়দিনের আনুষ্ঠানিকতা। চার্চের পাশাপাশি বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় চলছে ঘর বাড়ি সাজানো ও অতিথি অ্যাপায়নের প্রস্তুতি।

আনন্দ-আয়োজনে রাঙামাটি-খাগড়াছড়িতে পালন হচ্ছে বড়দিন

খাগড়াছড়ি সদরের খাগড়াপুর, মিলনপুর, আপার পেরাছড়া, গাছবান, চেলজ ছড়াসহ প্রায় দেড়শতাধিক গির্জা, ক্যাথলিক ও ব্যাপ্টিস্ট চার্চে বড়দিন উদযাপনের লক্ষ্যে সাজসজ্জা করা হয়েছে। চার্চের পাশাপাশি বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় চলছে ঘরবাড়ি সাজানো ও অতিথি অ্যাপায়নের পূর্ব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়েছে বড়দিন উপলক্ষে বিশেষ প্রার্থনা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও কেক কাটা অনুষ্ঠান। বুধবার সকাল থেকে চলছে চার্চে চার্চে শিশুদের উপহার সামগ্রী বিতরণ। এরপর চলবে মধ্যাহ্নভোজ, শীতবস্ত্র বিতরণসহ নানান আনুষ্ঠানিকতা। চার্চভিত্তিক অনুষ্ঠান ছাড়াও ঘরে ঘরে অতিথি অ্যাপায়ন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানান আয়োজন।

খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা বলেন, এটি আমাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। এ উপলক্ষে আমরা সবার মঙ্গল কামনায় বিশেষ প্রার্থনা ও আনন্দ উৎসব করে থাকি।

খাগড়াছড়ি সদরের খাগড়াপুর ব্যাপ্টিষ্ট চার্চের পালক হেমন্ত ত্রিপুরা বলেন, বড়দিনে আমাদের বিশেষ প্রার্থনা হবে মানুষের মঙ্গল ও কল্যাণের জন্য, সবাই যেন বিশ্বজুড়ে শান্তিতে বসবাস করতে পারেন।

Source link

Related posts

এখন আর পাহাড়ের পাদদেশে নির্ঘুম রাত কাটাতে হবে না জরিনাকে

News Desk

সাধারণ কৃষকের স্বার্থে বিএমডিএ’কে কাজ করতে হবে: কৃষি উপদেষ্টা

News Desk

কুমিল্লায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের দেওয়া হবে টিকা

News Desk

Leave a Comment