কক্সবাজারের দরিয়ানগরের সমুদ্রসৈকতে আজ শনিবার সকালে জোয়ারের পানিতে ভেসে এসেছে আরও একটি মৃত তিমি। এটির ওজন দুই থেকে আড়াই টন হতে পারে বলে ধারণা করছেন স্থানীয় জেলে ও বাসিন্দারা। তবে আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেননি বন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা। এর আগে শুক্রবার (৯ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে আড়াই টন ওজনের একটি মৃত তিমি দরিয়ানগর এলাকার সমুদ্রসৈকতে ভেসে আসে।
তিমিটি দেখতে স্থানীয় উৎসুক জনতা ভিড় জমিয়েছে। মৃত তিমি মাছটিকে তারা তাদের মুঠোফোনেও ধারণ করছেন।
কক্সবাজার সমুদ্রসম্পদ রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক মফিজুর রহমান মফিজ ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুটি কারণে তিমি মাছ মারা যায়। প্রথমত, বয়সকাল পার হলে তিমি আত্মহত্যা করে থাকে। দ্বিতীয়ত, বঙ্গোপসাগরে জাহাজ চলাচলের সময় আঘাতের কারণে তিমিটি মারা যেতে পারে। তিমিটির ওজন আনুমানিক আড়াই টনের মতো হবে।
তিনি আরও বলেন, এর আগে ১৯৯১ সালে একটি এবং শুক্রবার আরেকটি তিমি ভেসে আসে। পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানা যায়, ওই তিমি আত্মহত্যা করেছিল।
ধারণা করা হচ্ছে, তিমি দুটি একই প্রজাতির। গভীর সমুদ্রে ফিশিং ট্রলারের ধাক্কায় তিমির মৃত্যু হতে পারে। অথবা বিষাক্ত বর্জ্য খেয়ে ফেলার কারণেও তিমির মৃত্যু হতে পারে। এই তিমির শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখা না গেলেও শরীর থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।